বানিয়াচং প্রতিনিধি

২২ জানুয়ারি, ২০২০ ১৮:৩৯

বানিয়াচংয়ে চিকিৎসকের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে তদন্ত কমিটি

অভিযোগ প্রমাণিত

বানিয়াচং পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডা. সুবিমল চন্দ’র বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসােতর প্রমাণ পেয়েছে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।

অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে কর্মস্থল থেকে বদলি করা হয়।  রোববার (১৯ জানুয়ারি) উপপরিচালক স্বাক্ষরিত বদলির আদেশ গৃহীত হয়। এরই প্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন মেডিকেল অফিসার ডা. সুবিমল চন্দকে তার কর্মস্থল হতে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) পদে তাকে বদলির আদেশ দিয়েছেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইফতেখার রহমান ও সহকারি পরিচালক (পার-১) স্বপন কুমার শর্মা এ আদেশ দেন। তার এই বদলির আদেশ গতকাল বুধবার থেকেই কার্যকর করার কথা। ওই তারিখে যদি ডা. সুবিমল যোগদান না করেন অন্যথায় পরের দিন থেকে তাৎক্ষনিক অব্যাহতি প্রাপ্ত হবেন বলে অফিস আদেশ কপিতে উল্লেখ করা হয়।

জানা যায়, ডা. সুবিমল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বানিয়াচং এর ক্লিনিক অধিক্ষেত্রের বিল ২৬, তারিখ-১০-০৬-১৮ইং ,বিল নং-২৭,তারিখ-২৬-০৬-১৮ইং এবং বিল নং-২৮,২৬-০৬-১৮ইং এর সংশ্লিষ্ট ইমপ্ল্যান্ট ক্লায়েন্ট/গ্রহীতাদের ইমপ্ল্যান্ট কনসেন ফরম ও ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ ও রেজিস্ট্রারে ভুয়া নামধারীদের নাম দিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দোকান থেকে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ভুয়া বিলের মাধ্যমে তিনি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে বিভাগীয় তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ ডা. সুবিমলকে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে যান। উপরোক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ নভেম্বর তারিখে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা বানিয়াচং পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে তদন্ত করেন। পরবর্তীতে ইমপ্ল্যান্ট সেবা গ্রহীতা, বিভিন্ন দোকান মালিক ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেবা গ্রহীতাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ডা. সুবিমল চন্দ সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রাধা রাণী দাস ও কাঞ্চন রাণী দেব এর সাথে ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, অত্র কার্যালয়ে কখনো ই ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ সেবা প্রদান করা হয়না এমনকি ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ রেজিস্ট্রার ও নেই।

এসব অভিযোগের সত্যতা মিলায় ডা. সুবিমলকে অত্র অফিস থেকে অন্যত্র বদলীর করার জন্য মহাপরিচালক বরাবরে সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ও দুদকে করা অভিযোগ বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অন্যত্র বদলির আদেশ দিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও সহকারি পরিচালক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত