নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০১:১০

সিলেটে পাথর উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

বিশিষ্টজনদের বিবৃতি

সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে শ্রমিক মৃত্যু রোধ ও পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সিলেটের পরিবেশকর্মী ও বিশিষ্টজনরা। বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা  জরুরী ভিত্তিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে এবং  দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকার ও রাজনৈতিক উচ্চমহলের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি  (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আক্তার স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে উল্লেক করা হয়- গত ১৫ জানুয়ারি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে (কালাইরাগ) একজন  ও ২০ জানুয়ারী শাহ আরফিন টিলায়  এক জন পাথর শ্রমিক নিহত হন এবং দু’জন আহত হন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে শাহ আরেফিনটিলা, জাফলং, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া ও বাংলাটিলাতে  শুধু ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত  ৭৬ জন পাথর শ্রমিক নিহত এবং ২১ জন আহত হন। কিন্ত সরকারী হিসেব অনুযায়ী, নিহত ৩৫ এবং আহত ১১ জন (২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত) এবং একই সময়ে বেলা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবার, এলাকা ও ঘটনা স্থল ও অন্যান্য শ্রমিকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শ্রমিক মৃতের সংখ্যা ৭২ আহত ১৭ জন।

গত ২১জানুয়ারি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি, কোম্পানীগঞ্জ থানা ও  বেলা কর্র্তৃক যৌথভাবে শাহ আ্রফিনটিলা এলাকা পরিদর্শন করা হয়। সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে বলা যায়, এভাবে চলতে থাকলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শুধু টিলার অস্তিত্বই বিলীন হবে না  এ ভূখন্ডটিও হারিয়ে যাবে। সুতরাং পাথর উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে শ্রমিক মৃত্যু থামানো যাবে না, রক্ষা করা যাবে না ভূখন্ড।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্য করছি যে, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে শ্রমিক হতাহতের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না এবং  এ কারণেই পাথর ব্যবসায়ী কর্তৃক মৃত শ্রমিকদের লাশ গুম করার মতো প্রবনতা  দিন দিন বেড়েই চলছে।  তারা এ ব্যাপারে সরকার ও রাজনৈতিক উচ্চমহলের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান ।

বেলা সিলেটের সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার ছাড়াও অন্য বিবৃতি দাতারা হলেন- সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ মাহমুদ চৌধুরী,  জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ব্লাস্টের সমন্বয়ক মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, সনাক সভাপতি আজিজ আহমেদ সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, সিলেটের সমন্বয়ক সৈয়দা শিরীন আক্তার ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত