২৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ২০:২২
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ছাতক-দোয়ারার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থান পরিদর্শন করতে ছাতকে এসেছিলেন চেলা ও ভোলাগঞ্জ সাব সেক্টরের দুই কমান্ডারসহ চারজন কমান্ডার।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছাতক ও দোয়ারা উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের বেশ কটি উল্লেখযোগ্য স্থান পরিদর্শন করেন তারা। বিকেলে চরমহল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়ার বাড়িতে স্থানীয়দের সাথে কুশল বিনিময় শেষে মধ্যাহ্ন ভোজে মিলিত হন কমান্ডাররা।
সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে ছাতকে আসেন মুক্তিযুদ্ধের চেলা সাব-সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব) হেলাল উদ্দিন, ভোলাগঞ্জ সাব সেক্টর কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর, লে. কর্নেল (অব) আব্দুর রউফ বীর বিক্রম ও মেজর (অব) মাসুদ আহমদ। পরে তারা ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রাখা-রসুলপুর গ্রাম ও দোয়ারা উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামসহ যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এছাড়াও এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথেও তারা যুদ্ধকালীন সময়ের বিভিন্ন খÐ যুদ্ধ ও স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।
চেলা সাব-সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব) হেলাল উদ্দিন জানান, পাক সেনাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তারা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর অংশ হিসেবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সিলেট- সুনামগঞ্জ সড়কের জাউয়াবাজার ব্রিজ ও ডাবর ব্রিজ এলাকায় বড় ধরনের অপারেশন করতে তার নেতৃত্বে শ্রীপুর গ্রামে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের জাউয়া এলাকা ও লালপুল ব্রিজে অপারেশন করতে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রাখা-রসুলপুর গ্রামে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। উভয় অপারেশন তার নেতৃত্বেই হয়েছিল বলে তিনি জানান।
অপারেশন সফল করতে এসব এলাকায় বেশ কয়েকদিন তাদের থাকতে হয়েছে। যে কারণে যুদ্ধকালীন সময়ের এসব এলাকার কথা তার মনে বাসা বেঁধে আছে। তাই এসব এলাকা পরিদর্শনের জন্য তিনি বারবার এখানে এসেছেন। পরিদর্শনকালে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খছরু, মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ক্বারি আব্দুল জলিলসহ মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সাথে ছিলেন।
আপনার মন্তব্য