নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ মার্চ, ২০২০ ২০:৪২

সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে অপসারণের দাবি

সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারকে অদক্ষ ও অযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করে তার অপসারণ দাবি করেছেন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজমূল হোসেন পুতুল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সিলেট নিয়ে এসে আহ্বায়ক নির্বাচনে গোপন ভোটাভুটির পরিবর্তে প্রকাশ্য ভোটাভুটির ব্যবস্থা করে গ্রুপিং তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক নির্ধারণ করেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিতে বাধ্য হন।

পুতুল বলেন, তিনি সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীমের বাসা বা সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের অফিসে সাংগঠনিক কাজ করতেন। আহ্বায়ক কমিটির বেশীর ভাগ সদস্য এমন নগ্ন গ্রুপিং পর্যবেক্ষণ করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। তাদের হস্তক্ষেপ ও চাপের মুখে শিবগঞ্জে একটি অফিস করলেও সেখানে ৩/৪টি সভা ছাড়া আর কখনই বসেনি জায়গীরদার। তিনি কাহের শামীম ও আলী আহমদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।

তিনি বলেন, উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক নির্ধারণের পর ২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় প্রতিটি উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক এবং নিজেদের ইউনিটের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং স্ব স্ব উপজেলার জেলা সদস্যদের সমন্বয়ে একটি খসড়া কমিটি গঠনের পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পূর্ণাঙ্গ সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঐ খসড়া কমিটি সংশোধন/সংযোজন শেষে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। সাবেক সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে নিজেদের গ্রুপের লোক দিয়ে গোপনে ১৭/১৮জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি ঘোষণা করেছেন। দলের ত্যাগী ও পরিক্ষিতদের বাদ দিয়ে ছাত্রদল-যুবদল বা আওয়ামী লীগ ও শিবির থেকে আসাদের এসব কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। নিজের ইচ্ছে মতো কমিটি বানিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি কাউকে না জানিয়ে কামরুল হুদা জায়গীরদার উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন। এর একমাত্র কারণ, তাদের মনোনীত সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে আগামী কাউন্সিলে আবুল কাহের শামীম ও আলী আহমদ পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জকিগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ইকবাল আহমদ, উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুশ শহীদ মাসুক, অ্যাডভোকেট কাওছার রশীদ বাহার, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. মুজিবুর রহমান, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওসমান গণি, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিকুর রহমান মহি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কানাইঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবিদুর রহমান কাউন্সিলর ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত