বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৪ মার্চ, ২০২০ ১৪:২৬

মাদাই বিলে শিকারিদের ‘পলো বাইছ’

শুকনো মৌসুমে হাওর ও বিলের পানি শুকিয়ে যায়। এটা চিরায়ত বাংলার নিয়ম। এ সময় হাওর ও বিলে আনন্দ উল্লাস করে পলো দিয়ে মাছ শিকার করেন শিকারিরা। সিলেটের বিশ্বনাথে এ মাছ ধরাকে উৎসব হিসেবে পালন করা হয়, বলা হয় পলো বাওয়া উৎসব।

বিশেষ করে শীত মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও বিলে দিন-তারিখ নির্ধারণ করে এক সঙ্গে সকলে মিলে মাছ ধরতে নামেন। তেমনি পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩ মার্চ) উৎসবের আমেজে দিনভর মাদাই বিলে হয়ে গেল ‘পলো বাইছ’ প্রতিযোগিতা।

ছেলে-বুড়ো-যুবকসহ মাছ শিকারে মেতেছিলেন উপজেলার দেওকলস, দশঘর ও দৌলতপুর ইউনিয়নবাসী। আহা এ যেন মাছ শিকারিদের মিলন মেলা!

‘পলো বাইছ’ হলেও ওই দিন বিলে ‘পলো, ঠেলা জাল, হাতা জাল, উড়াল জালসহ ইত্যাদি বাহন নিয়ে মাছ ধরায় মেতেছিলেন তিন ইউনিয়নের প্রায় দেড় শতাধিক শিকারি। রুই, কাতলা, বোয়াল, শোল, গজার ও কার্ফু মাছ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি পাওয়ায় হাসি মুখে বাড়ি ফিরেছেন অধিকাংশ শিকারি।

দেওকলস ইউনিয়নের সৈয়দপুর সদুর গাঁওয়ের মাছ শিকারি রুয়েল আহমদ মিঠু ও সুমন আহমদ দুজন চাচাতো ভাই। তারা দুজনেই ২টি করে বড় বোয়াল মাছ শিকার করেছেন। তাদের গ্রামের আফিকুল ইসলাম বড় একটি রুই মাছ শিকার করে মাছ হাতে বিলের পাড়ে উল্লাস করেছেন।

অন্যদিকে জীবনের প্রথমবারের মতো বড় কাতলা মাছ শিকার করে আনন্দিত দশঘর ইউনিয়নের কবির মিয়া ও দৌলতপুরের শামীম আহমদ।

মাদাই বিল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ-সম্পাদক আব্দুল হামিদ বলেন, পলো বাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র তিন ইউনিয়নবাসীর মধ্যে আরও গভীর সু-সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।

দেওকলস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া বলেন, প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিলে মাছ ধরা হয়। এ বছর তিন ইউনিয়নবাসী মিলে ৩ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করায় ওই বিলে মঙ্গলবার পলো বাওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত