ওসমানীনগর প্রতিনিধি

০৯ মার্চ, ২০২০ ১৪:১২

নিখোঁজের ৭ দিন পর ওসমানীনগরে জেলের লাশ উদ্ধার, আটক ৩

সিলেটের ওসমানীনগরে নিখোঁজের ৭ দিন পর নদী থেকে গলায় পাথর বাঁধা সতিন্দ্র দাস (৩৫) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সতিন্দ্রের ভাগিনাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সাদিপুর ইউপির সাদিখাল ব্রিজের পূর্ব পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।

নিহত সতিন্দ্র সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুয়াজপুর ইউপির চকিয়া গ্রামের মৃত নরেন্দ্র দাসের ছেলে। নিহত সতিন্দ্র ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির মোবারকপুর গ্রামের শ্বশুর রাকেশ দাসের বাড়িতে ঘরজামাই থেকে মাছ ধরার কাজ করতেন।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির মোবারকপুর গ্রামের বিধু দাসের ছেলে নেপাল দাস, একই গ্রামের সুশিল দাসের ছেলে গোপাল দাস ও পার্শ্ববর্তী কারিকোনা গ্রামের অতুল দাসের ছেলে স্বপন দাস।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২ মার্চ রাত ১০টার দিকে সহকর্মীদের সাথে মাছ ধরতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন সতিন্দ্র। পরদিন ৩ মার্চ সতিন্দ্রের সম্পর্কীয় ভাগিনা নেপাল দাস বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি রুজু করেন। রোববার সকালে সাদিখালে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ওসমানীনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর আগে লাশ উদ্ধার করা হলে সতিন্দ্রের স্বজনরা লাশটি সতিন্দ্রের বলে সনাক্ত করেন।

লাশের সুরতহালকারী ওসমানীনগর থানার এসআই রতন জানান, লাশের গলায় নায়লনের রশি পেছানো ছিল এবং রশির সাথে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের একটি পাথর বাঁধা ছিল।

ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি একটি হত্যাকাণ্ড ধারণা করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে সতিন্দ্রকে হত্যা করে নদীতে লাশ গুম করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত