নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ মার্চ, ২০২০ ১৯:৫৭

সিলেটে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা

সিলেট আওয়ামী লীগ মুজিব শতবর্ষের ৫ম দিনের অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করেছেন চিকিৎসকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএমএ সিলেটের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম হাফিজ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। রাস্তা-ঘাটে থুথু, কফ ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্দি-কাশি হলে অবশ্যই পকেটে টিস্যু রাখেতে হবে। যখনই আপনার হাঁচি বা কাশি আসবে তখন মুখে টিস্যু দিয়ে চাপ দিবেন। পরে এই টিস্যু পুড়িয়ে ফেলবেন। এছাড়াও বাইরে থেকে আসার পর হাত না ধুয়ে নাকে, মুখে হাত দিবেন না। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান, বা জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াস দিয়ে হাত ধুতে হবে।

করোনাভাইরাস নিয়ে প্রধান বক্তা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজল মিয়া বলেন, আমাদেরকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে হবে। আক্রান্ত যদি মাইলড কেইস হয় তাহলে তাকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। ঘরের মধ্যেও একটি রুমে আবদ্ধ থাকতে হবে। আক্রান্তের মাধ্যমে যেন তার পরিবারে কেউ সংক্রমিত না হয় সে জন্য এই ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টাইনের বিকল্প নেই।

সিলেট আওয়ামী লীগ মুজিব শতবর্ষের ৫ম দিনের অনুষ্ঠানে ' সুস্থ সবল জাতি গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভার এসব বলেন চিকিৎসকরা।

'নব প্রজন্মেও নব চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানকে ধারণ করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ধারাবাহিক এই অনুষ্ঠানের ৫ম দিনে বুধবার (১১ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রিকাবিবাজারস্থ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সিলেট শাখার নিবেদনে এই অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সিলেট শাখার আহবায়ক অধ্যাপক ডা. রুকন উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমএ সিলেটের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম হাফিজ। প্রধান বক্তা ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সিলেট শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজল মিয়া।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের চিকিৎসকদের ভূমিকা। চিকিৎসকদের ও চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।  

ডা. মো. হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ চৌধুরী,

আরও বক্তব্য দেন সিলেট স্টেশন ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট জেলা পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমদ ।

স্বাগত বক্তব্য দেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক। কোরআন তেলোয়াত করেন ডা. আব্দুল হাই। গীতা পাঠ করেন ডা. প্রীতম। এর আগে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান মঞ্চে আগত অতিথিদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন। এবং প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল গীতাঞ্জলী, অনির্বাণ, একদল ফিনিক্স । একক পরিবেশনায় ছিলেন সুকমল সেন, খোকন কবির, সিতন বাউল, সীমা রানী দেব, সাইমুন আনজুম ইভান, রাজীব চৌধুরী, নাহিদ বক্স রাকিব প্রমুখ।

আয়োজনের ৬ষ্ঠ দিন বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নিবেদনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ওই অনুষ্ঠানে সিলেটের সর্বস্থরের মানুষজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আয়োজকবৃন্দ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত