জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

১৮ মার্চ, ২০২০ ০০:২৩

জৈন্তাপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে একশত বৃক্ষ রোপণ

শত শত বছরের বিভেদ আর পরাধীনতার দেয়াল ভেঙে বাঙালিকে যিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বাদ। ইতিহাসের সেই মহানায়কের আজ জন্মের শতবর্ষ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর লাল শাপলার বিলে বৃক্ষ প্রেমিক ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শত বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিকাল ২টায় মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়ের পাদদেশ ঝর্ণা বেষ্টিত জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর লাল শাপলার বিলে বৃক্ষ প্রেমিক ও জৈন্তাপুর মডেল থানার যৌথ উদ্যোগে ফলজ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের শত বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়। শতবৃক্ষের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট সার্কেল এএসপি আব্দুল করিম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বনিক, জৈন্তাপুর সোনালী ব্যাংক‘র ব্যবস্থাপক মো. সদরুল আলম, জৈন্তাপুর উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সভাপতি ফনি দে, জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলাম, জৈন্তাপুর ডিবির হাওর বিওপির কমান্ডার দবিরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. হানিফ, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি শোয়েব উদ্দিন, একাত্তরের কথা জৈন্তাপুর প্রতিনিধি মো. নাজমুল ইসলাম, শাপলা বিল সুরক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমদ, সুরক্ষা কমিটির সদস্য মাহমুদ আলী, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

জৈন্তাপুর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. সদরুল আলম ও জৈন্তাপুর উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সভাপতি ফনি দে দীর্ঘ দিন হতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বট বৃক্ষের চারা, তাল গাছের চারা নীরবে রোপণ করে বৃক্ষ আন্দোলন করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বড় বট বৃক্ষের চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তারা। বিষয়টি স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বনিক জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফলজ, বনজ ও ঔষধি এবং ফুলের শত চারা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর কর্মসূচী পালন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে বৃক্ষপ্রেমিরা বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার রাজ্যের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তাটি যদি স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে বৃক্ষের চারা রোপণ করে তাহলে বিলে আগত পর্যটকরা ছায়া পাবে, পশু-পাখিদের বাসস্থান ও খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। নাম মাত্র খরচে শতবৃক্ষের চারা রোপণ করে সেচ্ছাসেবীরা এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত