নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মার্চ, ২০২০ ১৯:৪০

গণপরিবহন বন্ধের খবরে সিলেটে টার্মিনালে ভিড়, বাস ঠাসা যাত্রীতে

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এমন ঘোষণার পর থেকেই সিলেট নগরীর কদমতলী এলাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাড়তে থাকে যাত্রীদের ভিড়। বিকেল থেকে যা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার আগেই বাড়ি ফিরতে চাচ্ছেন সবাই। সিলেট টার্মিনাল থেকে ছেড়ে দূরপাল্লার বাসগুলোতে তাই গাদাগাদি অবস্থা। সিট না পেয়েই দাঁড়িয়েই অনেকে দূরের গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সঙ্গ এড়িয়ে চলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথাও বলা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সবাই ছুটছে বাড়ির পানে। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে ফুরিয়ে গেছে বাসের টিকিট। ফলে টিকিট না পেয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে অনেককে।

বিকেলে টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের একটি বাসে দেখা যায়, সিট শেষ হওয়ার পরও যাত্রী তুলছেন শ্রমিকরা। আর যাত্রীরাও বসার জায়গা না থাকা সত্ত্বেও দাঁড়িয়েই রওয়ানা দিয়েছেন দূরের গন্তব্যে।

টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের একজন কর্মী বলেন, আমাদের আজ রাতের প্রায় সব বাসের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

একইকথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকও। তিনি বলেন, বাসের চাইতে যাত্রীর চাপ বেশি। তাই অনেকেই টিকিট না পেয় ফিরে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, গাড়িতে উঠার আমরা সব যাত্রীদের জন্য স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ানোর ব্যবস্থা রেখেছি। গাড়িও জীবানুনাশক দিয়ে পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে সতর্কতামূলক লিফলেটও বিতরণ করছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত