সুনামগঞ্চ প্রতিনিধি

২৪ মার্চ, ২০২০ ২০:২০

সবাইকে ১০ দিন বাসায় অবস্থান করার অনুরোধ সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সকালের সচেতন হওয়া জরুরী। সরকার সকলকে ১০দিনের ছুটি দিয়েছে সেটি ঘুরতে যাওয়ার জন্য নয়, ঘরের থাকার জন্যে। আমার অনুরোধ আপনারা সবাই নিজ নিজ ঘরে থাকুন দেশ ও সকলের নিরাপত্তার জন্য। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে নিয়ে আসা হয়েছে। যাদের হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারাও যেনো বাহিরে বের হয়ে না যান। আপনারা বাসায় থাকুন। আমাদের সকলের সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণপরিবহনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সভায় বাস মালিক সমিতির সভাপতি উপস্থিত রয়েছেন, আমি তাকে বলে দিচ্ছি আপনারা আজকে থেকে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচলে বাস সীমিত করুন। যতো সীমিত আকারে পরিবহন চলাচল করবে করোনার ঝুঁকি কম হবে। তাছাড়া মোটরসাইকেল সিএনজি ইত্যাদি চলাচলেও সীমিত করতে হবে। অযথা রাস্তায় ঘুরাঘুরি বন্ধে মোটরসাইকেল চালকদের সর্তক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কাউসারের সাথে ভিডিও কনফারেন্স শেষে উপস্থিত সকলকে এ নির্দেশনা প্রদান করে তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক এমরান হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. শাসম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম, দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু প্রমুখ।

দোকানপাট খোলা রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমরা হাটবাজার গুলো বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ওষুধের দোকান ছাড়া কোন প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যায় ৭ মধ্যে লাগিয়ে নিতে হবে। যেসকল দোকানী তাদের দোকানপাট খোলা রাখার জন্য বিভিন্ন পন্যের দোকানকে সবজি পেঁয়াজ রাখছেন তাদেরকে কোন রকমের সুযোগ দেওয়া হবে না। তাছাড়া সকল চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে হবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সিলেট বা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, যেহেতু আমাদের সুনামগঞ্জে এখনো কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি সেক্ষেত্রে আমাদের এখন থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সিলেটে বা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহন প্রস্তুত রাখতে হবে। যদি করোনাভাইরাসে কোন রোগী আক্রান্ত হন তাহলে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া সকল সরকারি ও বেসরকারি এম্বুল্যান্সগুলোও করোনা রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

পরিশেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, সরকার সকলকে ২৬ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার কারণ হচ্ছে প্রত্যেক পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য। তবে জেলা উপজেলার কোন সরকারি কর্মকর্তা তার কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। আমাদের জরুরী নাম্বার গুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত