কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৭ এপ্রিল, ২০২০ ২০:৩০

কমলগঞ্জের শমশেরনগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি নিষিদ্ধ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শাহী ফুড প্রোডাক্টের শমশেরনগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ১৭টি পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পণ্যের মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া নিম্নমানের ১৭টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

খোলাবাজারে ‘সার্ভেইল্যান্ড অভিযান’ পরিচালনা করে পণ্য ক্রয় করে বিএসটিআই ল্যাবটেরিতে পরীক্ষা করে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) এর থেকে নিম্নমানের পাওয়ায় এসকল পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় বলে প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিএসটিআই এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি পরবর্তীতে উক্ত পণ্য সমূহের মানোন্নয়ন করে পুনঃঅনুমোদন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকা এবং উৎপাদনকারীদের বাজার থেকে বিক্রিত মালামাল প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হয়।’

এদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল-আমীন গণমাধ্যমকে জানান, বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় মৌলভীবাজারে উৎপাদিত শমশেরনগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি বাজার থেকে দ্রুত উঠানোর জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশ দেয়া হলো। এরপরও দোকানে পণ্য সংরক্ষিত থাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি অভিযানে মৌলভীবাজার শহরে বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য শমশেরনগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি জব্দ এবং ধ্বংস এবং জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সনের ডিসেম্বর মাসে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভেজাল ঘি তৈরির দায়ে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সাথে ভেজাল ঘিসহ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সামগ্রী ধ্বংস করা হয়। শমশেরনগর বাজারের ইউপি রোডের ভাদাইর দেউল এলাকার শাহী ফুড প্রডাক্টস-এ এ অভিযান চলে। অভিযানকালে শাহী ফুড প্রোডাক্টস-এর কারাখানা থেকে বিপুল পরিমাণের ভেজাল গাওয়া ঘি ও ঘি তৈরির সামগ্রী জব্দ করা হয়। জব্দকৃত প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ভেজাল ঘি তৈরির দায়ে এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ধারায় নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত