গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি

৩০ এপ্রিল, ২০২০ ০১:০৪

প্রাণি সেবা অব্যাহত রেখেছে গোয়াইনঘাট প্রাণিসম্পদ বিভাগ

গোয়াইনঘাটে করোনার দুর্যোগময় মুহূর্তেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সেবা। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তেও তারা উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় গিয়ে অব্যাহত রেখেছে গবাদিপশু, হাস ,মুরগীসহ প্রাণী সেবা কার্যক্রম। উপজেলায় দুধ,ডিম, মাংস উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে খামারিদের সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস গোয়াইনঘাটের ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা।

সরজমিনে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস সৃষ্ট দুর্যোগ চলাকালে প্রতিদিন অসংখ্য প্রান্তিক খামারি তাদের গবাদি প্রাণিগুলোকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে। চিকিৎসা, টিকাদান, কৃত্রিম প্রজনন, জরুরি পরামর্শসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। সেবা নিতে আসা মানুষজনের গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবায় সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনাসহ নিজেদের দাপ্তরিক কাজও সামলাতে দেখা যায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. জামাল খানকে।

দেশের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস ও উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় গিয়ে পশু চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অফিস সংশ্লিষ্টরা। অফিস টাইম ব্যতীত অন্যান্য সময়ে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।

গোয়াইনঘাট জুড়ে সার্বক্ষণিক প্রাণিসেবায় নিয়োজিত আছেন উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা-লাবনী রানী বিশ্বাস,উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা -মোঃ মনির উদ্দিন ও উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইজ্জত উল্লাহ। ১১টি পদের বিপরীতে গোয়াইনঘাটে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪জন। এই লোকবল এর মধ্যেও গোয়াইনঘাটের আনছে-কানাচে গড়ে তুলা উদ্যোক্তাদের প্রাণী সম্পদ এবং গবাদি পশুর খামারগুলো সরেজমিন পরিদর্শন সাপেক্ষ চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

পাশাপাশি প্রতিদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রাণী চিকিৎসা সেবা গ্রহণে আসা লোকজনের সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখাসহ চিকিৎসাসেবায় হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। চলমান করোনার দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের সেবার পরিধি চালিয়ে নিতে দেখা গেছে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত প্রাণি সম্পদের কর্মরতরা তাদের এই সেবা পরিধি জরুরী চিকিৎসা সেবার আওতায় লিপিবদ্ধকরণের সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাটের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল খান বলেন, লোকবল সংকট পাশাপাশি করোনার ঝুঁকি। তবুও থেমে নেই আমাদের সেবা কার্যক্রম। গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের উদ্যোক্তাদের গড়ে তোলা সবকটি খামার এবং গৃহস্থের বাড়িতে গবাদি পশু চিকিৎসা আমাদের কোনো ত্রুটি নেই। পাশাপাশি প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা সেবার জন্য শতাধিকেরও বেশি মানুষজন গবাদি পশু নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে আসছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের নিয়ে আসা পশু চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে দ্রুত জরুরী চিকিৎসা সেবা হিসাবে ঘোষণা করতে সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত