তাহিরপুর প্রতিনিধি

০৫ মে, ২০২০ ২০:২৭

করোনা আক্রান্ত ৪ জন ফিরে গেছেন গার্মেন্টসে, একজন কাটছেন ধান

তাহিরপুর উপজেলার ৬ জনের করোনা শনাক্ত

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় প্রথম ৬ জনের করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের গার্মেন্টসের কর্মী। ওইসব এলাকা থেকে ফেরায় তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য গত ২২ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। তবে দীর্ঘদিনের পরীক্ষা ফল ফলাফল না আসায় তারা আবার গার্মেন্টসে কাজে ফিরে যান।

এরমধ্যে মঙ্গলবার (৫ মে) আসা রিপোর্টে জানা গেলো তাদের করোনা পজিটিভ। উপজেলায় শনাক্ত হওয়া আরেক ব্যক্তি মঙ্গলবার হাওরে ধান কাটায় ছিলেন। শনাক্ত হওয়া একমাত্র তরুণীকেই কেবল ঘরে পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

নমুনা সংগ্রহের পর তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও ফলাফল আসতে বিলম্ব হওয়ায় হোম কোয়ারেন্টিন মানেনি তারা। অবাধে চলাফেরা করেছেন গ্রামে ও বাজারে। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।।

মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার ফলাফলে ছয়জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এই ছয়জন আক্রান্তের মধ্যে ৩ জন পুরুষ। যাদের বয়স ৪৫, ৩৫ ও ১৬ বছর। বাকি ৩ নারীর দুইজনের বয়স ৩০বছর ও অন্যজনের বয়স ১৮ বছর। তারা সবাই উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। এই ছয়জনের মধ্যে ৪ জনই এখন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল ঢাকায় চলে গেছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত ২২ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা ফেরত এই ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হলেও তারা তা মানেনি। বরং অবাধ ঘোরাফেরা করেন। আর এর মধ্যেই আক্রান্তদের চার জন গত চার দিন আগে আবারো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে চলে গেছেন। বাড়িতে থাকা আক্রান্ত একজন মঙ্গলবার সকাল থেকে ধান কাটার কাজে ছিলেন। দুপুরে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসলে তাকে জমির ধানকাটা থেকে তুলে নিজ ঘরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্ত ১ তরুণীকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই প্রথম উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানান তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ফলাফল আরও আগে আসা উচিত ছিল। তাহলে আক্রান্তদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যেত।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন,পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার ১৪দিন পর রেজাল্ট আসলো। তাদের করোনা পজিটিভ আসায় আমাদের সব চেষ্টা পণ্ড হয়ে গেছে। এখন বিশাল গ্রামটি লকডাউনে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি।

সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন শামস উদ্দিন জানান, নতুন করে আরও ২২জন করোনায় আক্রান্ত তাহিরপুর ৬, শাল্লা ৫, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ৪, দিরাই ৩, ছাতক ৩ ও বিশ্বম্ভরপুর ১ জনসহ মোট ৫৮জন। আক্রান্তদের আইসোলেশনে ও এদের সংস্পর্শে আসা সকলকে লকডাউনে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত