চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান।

বিজয়ের ব্যাপারের আশাবাদ জানিয়ে সকালে তিনি বলেন, মানুষ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ভুলে যায়নি, তার ভালো কাজগুলো মনে রেখেছে। সে কারণে ঢাকা-১৭ আসনে লাঙ্গল বিজয়ী হবে।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় ঢাকা সেনানিবাসের শিশুমঙ্গল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান শেষে এমন মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান।

তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ আশা নিয়ে বাঁচে আমিও বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদী। আমি সৈনিক মানুষ কাউকে মিথ্যা দোষারোপ করবো না। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশন এই উপনির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন আটজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম হোসেন ওরফে হিরো আলম এবং মো. তারিকুল ইসলাম ভুঞা।

অনিয়মের অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারিকুল ইসলাম ভুঞা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।