সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জুন, ২০১৬ ১৪:৩২

শিক্ষক রিপন হত্যাচেষ্টা : আটক ফাহিমকে নিয়ে পুলিশের অভিযান চলছে

মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক  রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় হাতেনাতে আটক গোলাম সাইফুল্লাহ ফাহিমকে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

শিক্ষক রিপনকে হত্যাচেষ্টায় অংশ নেয়া আরও দুই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারসহ গুপ্তহত্যাকারী চক্রের সন্ধানে এ অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে আশংকমুক্ত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার সকালে শেবাচিমের অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা বলেন, রিপন চক্রবর্তী এখন আশংকামুক্ত। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এর আগে বুধবার রাতে শেবাচিমের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জহুরুল হক জানান, শিক্ষক রিপনের মাথায়, ঘাড়ে ও কানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছয়টি কোপ দেয়া হয়েছে। যার ফলে গভীর ক্ষত সৃষ্টির পাশপাশি ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী মাদারীপুরের নাজিমউদ্দীন কলেজের কলেজগেট সংলগ্ন একটি বাসায় একা ভাড়া থাকতেন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কলেজ থেকে বাসায় ঢোকার সময় তিন যুবক তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষকের চিৎকারে কলেজগেট থেকে লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে প্রায় এক কিলোমিটার দৌঁড়ে হামলাকারীদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী একজনকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবক নিজেকে গোলাম সাইফুল্লাহ ফাহিম নামে পরিচয় দেয়। সে জানায় তার পিতার নাম গোলাম ফারুক। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের দীঘিয়াপাড় গ্রামে।

জিজ্ঞাসাবাদে ফাহিম আরও জানায়, সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করছে। সেখানেই একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে।

মাদারীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুখদেব রায় জানিয়েছেন, শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার সময় হাতেনাতে আটক ফাহিমকে বুধবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এরপর রাতেই তাকে নিয়ে সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। বৃহস্পতিবারও এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পরিদর্শক সুখদেব।

এদিকে ফাহিমের বাবা গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, গত ১১ জুন ফাহিম বাড়ি ছাড়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

পরে তার নিখোঁজের ব্যাপারে ঢাকার দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং র‌্যাবের কাছে ছেলেকে খুঁজে দেয়ার আবেদন করা হয় বলেও জানান গোলাম ফারুক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত