পাবনা প্রতিনিধি

২৭ জুন, ২০১৬ ১২:১৬

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর ভাইকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপির ছোট ভাই ও বেড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ মো. আবদুল বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় আদলতে দেওয়া অভিযোগপত্রে নাম থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পৌরসভা আইনের ৩১-এর ১ ধারা অনুযায়ী পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে করা মামলায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে নাম থাকলে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। বেড়া পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে এই ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বেড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বহিষ্কারের কোনো চিঠি এখনো আমি পাইনি।’

মেয়র আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার করে এ বহিষ্কার করিয়েছেন। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। চিঠি পাওয়ার আমরা আইনি লড়াই করব। সংস্কারবাদীর সব ষড়যন্ত্র শেষ করে জনগণের বিজয় হবে।

আবদুল বাতেনের অভিযোগের জবাবে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘উনি ছোট মানুষ। ওনার বিরুদ্ধে আমি কেন ষড়যন্ত্র করতে যাব। তাঁর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে সেই মামলা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে আমি কেন জড়াব?’

ক্ষমতার অপব্যবহার মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপির ছোট ভাই ও বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ আব্দুল বাতেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ পৃথক চারটি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

পাবনার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. রেজাউল করিম অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট এবং ৩১ আগস্ট দুদক, পাবনার উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেন। বিষয়টি জেলার সর্বত্র ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন, বেড়া পৌরসভার প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজুল আলম, সাবেক সচিব বর্তমান পঞ্চগড় পৌরসভার সচিব মো. রাশিদুর রহমান, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি, আবু দাউদ শেখ, জয়নাল আবেদিন, শামসুল হক খান, এনামুল হক শামিম, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুস সামাদ মহলদার, শহিদ আলী, নার্গিস আক্তার, মোছা. জাকিয়া খাতুন এবং হাটের ইজারাদার মাহবুব হোসেন বাবলু, চাটমোহরের উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সরওয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম, পাবনার সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন সবুজ, বেড়া পাউবোর তৎকালীন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী আ. আজিজ খান ও সাবেক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাজু আহমেদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত