সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ অক্টোবর, ২০১৬ ১৪:২১

এবার দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার লক্ষ্মীপুরের কলেজছাত্রী

লক্ষ্মীপুরে ফারহানা আক্তার নামের এক কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের শাখারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফারহানা আক্তার এ ঘটনার জন্য আশফাকুর রহমান নামের এক চিকিৎসককে দায়ী করেছেন।

ফারহানা পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান খানের মেয়ে। তিনি লক্ষ্মীপুর শহরের শাখারীপাড়া ছোটপুর এলাকায় সবিতা রানী নামে এক ভিজিটরের বাসায় থেকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পাশাপাশি তিনি সেইভ দ্যা চিলড্রেন-এর ‘মা-মনি’ প্রকল্পের অধীনে লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের প্যারামেডিক হিসেবে কর্মরত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকালে পরীক্ষার পর ফারহানা সবিতা রানীর বাসা থেকে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। বাস কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে সে ফেরার পথে শাখারীপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। তারা ফারহানাকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তার চিৎকারে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।

সাংবাদিকদের কাছে ফারহানা দাবি করেন, ‘লক্ষ্মীপুরে কর্মরত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে সিলেট এলাকার সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউজে ডা. ইমামুলের মধ্যস্থতায় মামুনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় না দেওয়ায় দূরত্ব সৃষ্টি হয় দু’জনের মধ্যে । আমি মোবাইল ফোনে তার কথাবার্তা ও বিয়ে সংক্রান্ত সবকিছু রেকর্ড করি। পরে মোবাইল ফোনে ডা. আশফাকুর রহমান মামুন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। হুমকি দেয় লক্ষ্মীপুরে না আসারও জন্যও। আমি শুক্রবার পরীক্ষা দিতে লক্ষ্মীপুর আসায় ডা. আশফাকুর রহমান হত্যার উদ্দেশ্যে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়।’

এ ব্যাপারে ডা. আশফাকুর রহমান মামুন বলেন, ‘ওই মেয়ে ষড়যন্ত্র করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছে। সে বিবাহিত এবং আগের সংসারে তার সন্তানও আছে।’

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, ফারহানার পেটে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) খন্দকার মোঃ শাহনেওয়াজ ও সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল-মামুন ভূঁইয়া সদর হাসপাতালে আহত কলেজ ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত