১৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০১:৪৮
ভাষা সৈনিক হেদায়েত হোসেন আর নেই। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়ে শাহপার শারমীন সুমি। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ শহরের ফিসারি রোড এলাকায়।
মৃত্যুকালে হেদায়েত হোসেনের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এক বছর আগে তার স্ত্রী ও এক ছেলের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন তিনি।
হেদায়েত হোসেন ভাষা আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জ মহকুমার সর্ব দলীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। গত তিন বছর ধরে অজ্ঞাত কারণে তাঁর নাম ভাষা সৈনিকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে সহযোদ্ধাদের অভিযোগ।
হেদায়েত হোসেনের মেয়ে শারমীন সুমি জানান, “বিকালে মোহাম্মদপুর এলাকায় আমার বাসায় তিনি হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে লালমাটিয়ায় সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের শহিদী মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে হয়বতনগর সাহেববাড়ি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান শারমীন।
ভাষা আন্দোলনের সময় হেদায়েত হোসেন ছিলেন স্থানীয় গুরুদয়াল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সে সময় তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমার সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা জীবন শেষে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
হেদায়েত হোসেনের সহযোদ্ধা ভাষা সৈনিক আ. ফ. ম শামছুল হুদা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই জেলা প্রশাসন থেকে ভাষা সৈনিকের সম্মাননা পেয়ে আসছিলেন হেদায়েত হোসেন। কিন্তু গত তিন বছর বছর আগে হঠাৎ করেই অজ্ঞাত কারণে তার নাম ভাষা সৈনিকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আপনার মন্তব্য