রাঙামাটি সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫জন রাঙামাটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাব্বির রহমান, অনার্স ফাইনাল ইয়ারের হাসান মুরাদ, অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন, অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র দীপংকর দে, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের নুর নবী।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাপ্পা জানান, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদের নেতৃত্বে রাজু দে, বিজয়, মেজবাহ উদ্দিন, রনি হোসেনরা কয়েকজন মিলে কলেজের সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

বাপ্পা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদল থেকে আসা শাওন, দিদার, রকি, মুজিবুল হাসান, রাসেল ইসলাম সোহাগের প্ররোচনায় ছাত্রলীগের ঐক্যে ভাঙ্গন ধরাতে ও সুনাম নষ্ট করতে অতর্কিত এ হামলা চালিয়ে আমাদের সহকর্মীদের আহত করে।

আহতরা বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অপরদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ রিয়াদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কলেজের অধ্যক্ষ জাফর আহম্মেদ জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ি
কলেজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে একটি মহল। তিনি জানান, মূলত ক্ষমতার দ্বন্ধের কারনেই এমনটি হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন জানিয়েছেন, ঘটনাটি খুবই  ন্যাক্কারজনক। বিএনপি-জামাতের অনুসারিরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। সুজন
বলেন, মুজিবীয় আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই ধরনের কাজে যুক্ত হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদ জানিয়েছেন, ঘটনার সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।