রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু’র হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার আমতলা মোকিমপুর বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের মকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচীতে অংশ নেন কয়েক’শ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এলাকাবাসী ও নিহত লিপুর স্বজনরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব ও জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাংবাদিক আলাউদ্দীন আজাদ, মানবধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু, স্থানীয় মোকিমপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান, শিক্ষার্থী ইলিয়াস হোসেন, বন্ধু রাশেদুজ্জামান ও লিপুর চাচাত ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাসুম মিয়া।

বক্তারা লিপু হত্যা রহস্য উদঘাটন করে দোষিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানান। মানববন্ধন কর্মসুচি শেষে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবীতে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক কিছুক্ষন অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে মহাসড়কের দু’পাশে যানবাহনের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লতিফ হলের ডাইনিং রুমের পাশে নর্দমা থেকে লিপু’র লাশ উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের সাথে বিরোধের কারণে লিপুকে হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।

লিপুর মা হোসনে আরা বেগম অভিযোগ করেন, গত পুজার ছুটিতে বাড়ি আসলে লিপুকে ফোনে হুমকী দেওয়া হয়।

লিপু বেশ কিছুদিন ধরেই মোবাইলে হুমকি পাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা বদর উদ্দিন। তিনি জানান, হুমকির মুখে মোবাইল ভেঙে ফেলেছিলেন লিপু। তারপর ভয়ে বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইছিলেন না। পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য তারাই জোর করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন।

বদর উদ্দিন বলেন, “মঙ্গলবার সকালেও বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে লিপুকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। লিপু শুধু বলেছিল, ‘বিপদে আছি’।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুরক্ষিত স্থানে থেকেও লাশ হয়ে ঘরে ফেরা কোনভাবেই মানতে পারছেন না লিপুর পরিবার ও এলাকাবাসী। নিজেরা মামলা না করলেও বলছেন সরকার এর বিচার করুক। লিপুকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এমন আশংকা পরিবারের।