সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০১৬ ১৯:১০

এবার যশোর, বগুড়া ও ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর, ২ জনকে গণপিটুনি

ফাইল ছবি

যশোর, বগুড়া ও ফরিদপুরের তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোরে দুই হামলাকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে যশোরের ধর্মতলা এলাকার সর্বজনীন কালীমন্দিরে গীতা পাঠ করছিলেন পুরোহিত সাধন কুমার পাল। তখন শামীম ও জসিম নামের দুজনের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সেখানে গিয়ে পুরোহিতের হাত থেকে গীতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুরোহিত বাধা দিলে তাঁরা মন্দিরে থাকা রাধাকৃষ্ণ, লক্ষ্মী, গণেশ ও মনসামূর্তি ভাঙচুর করেন। হইচই শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে শামীম ও জসিমকে ধরে পিটুনি দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় শামীম ও জসিমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।

এদিকে বগুড়ার ধুনটে দুর্বৃত্তরা চারটি প্রতিমা ভাঙচুরের করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে ধুনট পৌর এলাকায় ইছামতী নদীর তীরে শ্মশানঘাটে পূজা মন্দিরে এই প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করা হয়।

ধুনট উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার জানান, বুধবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা প্রতিমার মাথা ভাঙচুর করে শ্মশান ঘাটের পাশে ফেলে রেখে যায়।

একই রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি পারিবারিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত গ্রামের আনন্দ বিশ্বাসের বাড়িতে এ মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আনন্দ বিশ্বাস জানান, বুধবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা পারিবারিক মন্দিরে ঢুকে মনসা দেবীর প্রতিমাসহ কয়েকটি প্রতিমা ভেঙে ফেলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা প্রতিমাগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত