ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

১১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:৩২

সাতদিন ধরে ‘নিখোঁজ’ থাকা এনজিও কর্মীকে ইয়াবাসহ আটক দেখালো পুলিশ!

অবশেষে সাত দিন পর খোঁজ মিলেছে এনজিও কর্মী রবিউউল ইসলাম রবির। আটদিন ধরে নিখোঁজ থাকা রবিকে বুধবার গভীর রাতে ১১০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখিয়েছে ঝিনাইদাহের কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ জজ কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে সাংবাদিককে জানিয়েছেন রবির স্ত্রী কোকিলা।

গত ৩ নভেম্বর ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় এলাকা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ 'রবির আলো' নামে একটি এনজিও সংস্থার কর্মী রবিউল ইসলাম রবিকে তুলে নেয় বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার।

রবিউল ইসলামের স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়ে বলেন, রবিউল ইসলাম শহরের চাকলাপাড়ার মৃত লুৎফর বিশ্বাসের ছেলে। গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ছোট ভাই শাহিনের সাথে করে মোবাইল কেনার উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ শহরে যান।

ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে ইমরান নামে জেমিনির কনেস্টেবল তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সময় রবির সাথে থাকা শাহীন, স্থানীয় দোকানদার ও আশপাশে দাড়িয়ে থাকা লোকজন দেখেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু।

রবিকে সেখান থেকে গলির মধ্যে নিয়ে সাদা একটি মাইক্রোবাসে অস্ত্রেও মুখে তুলে নেয়  (ঝিনাইদাহ পুলিশের বিশেষ ফোর্সের (জেমিনি) কনেস্টেবল ইমরান। সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত এনজিও রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজ আছেন।

এ ঘটনায় শনিবার ও মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু জিডি করতে গেলেচার দিন পরে আসার কথা বলেন ডিউটি অফিসার।  

পরবর্তিতে আবারো মঙ্গলবার সকালে রবির স্ত্রী ঝিনাইদহ সদর থানায় জিডি করতে গেলে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জিডির আবেদনটি নিয়ে তার অফিস ড্রয়ারে রেখে দেয় বলে জানিয়েছেন, রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু।

কোকিলা আরো বলেন, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আমি, আমার মেয়ে ও রবির আরো দুই বোন কথা বললে, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
 
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বুধবার বলেন, রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানানো যাবে।

এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার জেমিনি ফোর্সের এস আই আমিনুল ইসলাম তুলে নেওয়ার বিষয়টি অস্বিকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ইমরান নামে জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল আছে-তবে সে কাউকেই ধরেনি। তাছাড়া আমি বিষয়টি জানি না।

এদিকে, গত বুধবার বিকালে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী কাউছার আলীকে তুলে আনে।

পুলিশ প্রথমে অস্বীকার করলেও কর্মচারীদের আন্দোলনের হুমকীতে বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় কাউছার তাদের হেফাজতে আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত