সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৩:৩১

ধরা পড়ার আগে আস্তানায় আগুন দেয় জঙ্গিরা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

র‍্যাবের অভিযান টের পেয়ে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানাধীন কর্নেল হাটের মুকিম তালুকদার পাড়ায় গড়ে তোলা আস্তানায় আগুন ধরিয়ে দেয় জঙ্গিরা। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনজনকে আটক করে র‌্যাব। এভাবে অভিযানের কথা জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিরা ওই আস্তানাটি গড়ে তুলেছিল বলে র‌্যাব জানিয়েছে। ওই বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ তিনজনকে আটক করেছে তারা। এর আগে রাতে একে খান মোড় থেকে অস্ত্রসহ আটক করা হয় আরো দুইজনকে।

ঐ বাড়ি থেকে আটক তিনজন হল আবু জাফর গিফারি, নুরে আলম ও ইফতিশাম আহমেদ।

বাড়িটি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান।

বৃহস্পতিবার পৌনে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা বলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি জানান, এই আস্তানায় হরকাতুল জিহাদের ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডারের আসার কথা ছিল।

রাতে বাড়ির অদূরে অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করার পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে ওই বাড়িটির সন্ধান পায় র‍্যাব। পরে ভোরে সেখানে অভিযানে যায় তারা। র‍্যাব আসার খবরে বাড়ির ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, জঙ্গি আস্তানায় যেসব ইলেকট্রনিক গেজেট ছিল, সেগুলো সব পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

এই র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, ওই বাড়িতে নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির বেশকিছু যন্ত্র পাওয়া গেছে। আটক তিন জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে এগুলো যাচাই বাছাই করে পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

মুফতি মাহমুদ জানান, রাতে যে দুইজন আটক হয়েছেন তাদের একজন মুফতি মাইনুল ইসলাম। তার সঙ্গে হরকাতুল জিহাদের সাবেক আমির ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই আস্তানায় ঢাকার আঞ্চলিক কমান্ডারের আসার কথা ছিল। মুফতি মাইনুল ইসলাম এর সমন্বয় করছিলেন।

র‍্যাব কমান্ডার জানান, মুফতি মাইনুলকে তারা দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিলেন। তার সঙ্গে আটক নাজিমুদ্দিনও দীর্ঘদিন ধরে হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে জড়িত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত