সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১২:৪০

গাজীপুরে হাসপাতাল ভাংচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ

সংগৃহীত

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর ও চিকিৎসকদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাবুল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন রোগীর লোকজন উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটান। বাবুল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কলিঙ্গা গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমুলিয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এ দিকে রোগীর আত্মীয় আক্তার মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে বাবুল মিয়া মারা যান। তিনি আরো বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে ঢাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনো অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। আমরা বারবার রোগীকে চিকিৎসা দিতে বললেও ডাক্তাররা কোনো চিকিৎসা দেয়নি। পরে রোগী মারা গেলে স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংচুর করে।”

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আর এম ও) অরূপ কুমার দাস বলেন, বাবুলকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পাঁচ মিনিটের মধ্যে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

“এ সময় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালে না থাকায় রোগীর স্বজনরা অন্যত্র অ্যাম্বুলেন্স আনতে গেলে বাবুল মারা যান। রোগীর লোকজন উত্তেজিত হয়ে কম্পিউটার, টেবিল-চেয়ার ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ভাংচুর ও তছনছ করে।”

এছাড়া জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মীর মো. মহিউদ্দিন, ইনডোর চিকিৎসক আশীষ কুমার বণিক ও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আব্দুল মোতালিবকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসক অরূপ কুমার।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, খুব দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আটক করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত