সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১৭:৫০

সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, জানাতে হবে : ব্যারিস্টার তুরিন

“চট্টগ্রামের উনসত্তর পাড়ায় আটমাসের গর্ভবতী কমলা রানী ও তার পরিবারের তেতাল্লিশ জন সদস্যকে ব্রাশফায়ার করে মারা হয়। যখন কমলা রানীর লাশ পাওয়া যায় তখন তার শরীর থেকে আট মাসের শিশুটি ঝুলে বেরিয়েছিল। তাই আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। হবিগঞ্জের যুদ্ধ শিশু সামসুন্নাহার যখন আদালতে সাক্ষ্য দেয় তখন সে বলে, আমার নাম সামসুন্নাহার, পিতার নাম অজ্ঞাত। তাই আমি ৭১ এর মানবতা বিরোধীদের বিচার চাই।”

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার চিড়াভিজা গোলনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের উদ্যোগে “নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ইতিহাসকে উদ্বুদ্ধকরণ ও উপাদান সংগ্রহ” ও ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

তিনি আরও বলেন, জয়পুরহাটের কড়াইকাদি গ্রামের কানচিরা মোহন্ত (৯৩) কে যখন নিজ বাসায় টেনে-হেঁচড়ে জবাই করে হত্যা করে ওই স্বাধীনতা বিরোধীরা। আমি ওই খুনি জল্লাদদের বিচার চাই।

তুরিন আফরোজ বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, সঠিক ইতিহাস জানতে হবে; সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।

এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এরাই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস থেকে জাতিকে দুরে ঠেলে দিয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে এই ঘৃণ্য মানবতা অপরাধীদের জাতীয় সংসদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদের গাড়িতে লাল-সবুজের পবিত্র পতাকা লাগিয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার।

এ ছাড়াও তিন দিনের সফরে এসে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তার নিজ এলাকা জলঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রোগ্রাম অফিসার রঞ্জন কুমার সিংহ, ভ্রাম্যমাণ যাদুঘর সহকারী নুরন্নবী, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম কবির, প্রধান শিক্ষক আল হাসান জায়েদ নওরোজী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত