বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের ধর্মঘট ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রোগীদের জিম্মি করে ধর্মঘট ডাকা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিচারপতি রেজা-উল হক ও বিচারপতি মাহমুদ উল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২০ মার্চ) এবিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড রিসার্চের সচিব প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ চৌধুরী।

রিটের শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, একজন চিকিৎসককে ধানমন্ডির এই হাসপাতাল থেকে উত্তরায় বদলি করায় চিকিৎসকরা গত ১৪ মার্চ থেকে ধর্মঘট আহ্বান করে। আদালত চিকিৎসক বদলির বিষয়ে তদন্তের জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে একটি তদন্ত কমিটি করতে বলেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ‘আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালতের আদেশে এখন থেকে আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক রোগী আসে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে সেসব রোগীরা কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি জরুরি বিভাগেও কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া অধ্যক্ষের নেতৃত্বে এই ধর্মঘট চলছে। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। যা আইন ও নৈতিকতা বিরোধী। এসব কারণে এই  প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ চৌধুরী সোমবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। সেই রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।