সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মে, ২০১৭ ১৩:৫৭

‘অপারেশন সাটল স্প্লিট’ সমাপ্ত, ৮টি বোমা নিষ্ক্রিয়

ঝিনাইদহের সদর উপজেলার নেবুতলার জঙ্গি আস্তানায় চালানো অভিযান ‘অপারেশন সাটল স্প্লিট’ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ।

সোমবার (৮ মে) সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান সাড়ে ১২টার দিকে শেষ হয়। এর আগে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ভেতরে প্রবেশ করে একে একে মোট আটটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে।

ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ জানান, সদর উপজেলার নেবুতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮টি বোমা, ১টি নাইন এমএম পিস্তল ও ৬টি গ্রেনেড পাওয়া গেছে।

এর আগে সকালেই পুলিশ প্রতিবেশীদের গৃহপালিত পশু নিয়ে বাড়ি ত্যাগ করতে বলে এবং জঙ্গি আস্তানার আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। একইসঙ্গে ২০০ গজের মধ্যে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিং করা হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেবুতলায় মৃত শরাফত হোসেনের বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

এরপর বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে শরাফত হোসেনের দুই ছেলে শামীম (২২), হাসান (৩৫) ও তাদের এক বন্ধুকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বন্ধুটির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নেবুতলার ওই বাড়িটি রোববার সকাল ৬টার দিকে ঘিরে রাখার পর আত্মঘাতী হামলায় ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় কাউন্টার টেরোরিজমের এডিশনাল এসপি নাজমুল হাসান, এসআই মুজিরুর রহমান ও ডিএসবির এসআই মহসীন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এর আগে ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সাউথ প’। প্রায় ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের অভিযানে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।

অপারেশন ‘সাউথ প’ সমাপ্ত ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ জানান, বাড়িটিকে জঙ্গিদের বোমা তৈরির কারখানা বলা যেতে পারে। এ বাড়িতে তিন-চার জন জঙ্গি ছিল। তারা আগেই পালিয়ে গেছে। বাড়িটিতে জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিভাগীয় পর্যায়ের লোকজন আসা যাওয়া করত বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত