ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ভাটি গোপালদী কর্মকার পাড়া বটতলা রক্ষাচণ্ডী কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বটতলা রক্ষাচণ্ডী মন্দিরের কালী প্রতিমাসহ তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর করে মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শতবর্ষের পুরনো এ মন্দিরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূজা-অর্চনা করে আসছেন। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে কে বা কারা মন্দিরে ঢুকে তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর করে খড়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।

মন্দির কমিটির সভাপতি অশোক কর্মকার ও সম্পাদক তপন রায় বলেন, "রাতে কে বা কারা রক্ষাচণ্ডী কালী প্রতিমাসহ তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। আমরা খবর পেয়ে বুধবার সকালে গিয়ে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও  অগ্নিসংযোগের বিষয়টি দেখতে পাই। " রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব মৃধা বলেন, "আমার ইউনিয়নে মোট  ৪৫টি মন্দির রয়েছে। এ ধরণের ঘটনা এটিই প্রথম। "

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "একটি দুষ্টচক্র অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর তদন্ত চলছে। "

এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। তবে তিনি এও জানান মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শনে যান  ফরিদপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কার ও দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে  আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।

এ ছাড়া সকালে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী বেগম লুৎফুন নাহার, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মোস্তফা কামাল, মধুখালী থানার ওসি মো. রুহুল আমিন, জেলা সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল হক বকু, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুল মালেক শিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতালেব মৃধা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মনোজ সাহা, সুভাষ রায়, সুখেন মজুমদার, অশোক পোদ্দার প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।