সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:৩৩

তারেক রহমানের শাশুড়ির দুর্নীতির মামলা বাতিল

তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব-সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের মামলা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নতুন করে নোটিশ দিতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সম্পদের হিসাব-সংক্রান্ত দুদকের মামলা ও সম্পদের হিসাব চেয়ে পাঠানো নোটিশ বাতিল চেয়ে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর আবেদন খারিজ করে দেন হাই কোর্ট।

পরে হাই কোর্টের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল করেন ইকবাল মান্দ বানু। সেই লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আদালত বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন।

জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৯ মে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে চার কোটি ২৩ লাখ ৮,৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ সর্বমোট চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩,৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদের মধ্যে জোবাইদা রহমানের নামে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।

তারেক রহমানের দাবি অনুসারে, ওই এফডিআরের অর্থ তার শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু মেয়ে জোবাইদা রহমানকে দান করেছেন।

দুদকের তদন্তে ওই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং জোবাইদা রহমান ও ইকবাল মান্দ বানুর মাধ্যমে তারেক রহমানের অবৈধ আয়কে বৈধ করার অপচেষ্টায় সহায়তা করেছে মর্মে প্রমাণিত হয়।

পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত