বেনাপোল স্থল বন্দরে ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সুবিধার জন্য খোলা রাখার দাবি জানানো হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন, কাস্টমস, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠক করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন।

শনিবার (২২ জুলাই) বিকাল ৫ টার সময় বেনাপোল স্থল বন্দরের প্রশাসনিক ভবনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসাবে বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক আব্দুর রউফ, উপ-পরিচালক রেজাউল করিম, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম, কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার সাদিয়া পারভিন, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন, ট্রান্সপোর্ট সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন গাজি, বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু প্রমুখ।

বেনাপোল স্থল বন্দরের জায়গা সংকট, রাস্তা সংকট, টার্মিনাল সংকট, ফোর লেন অথবা ছয় লেন করার জোর দাবির জন্য প্রস্তাব দেয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, বেনাপোল স্থল বন্দরে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করে। তাতেই জায়গা সংকট। এ বন্দরের বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ৩৬ হাজার মেট্রিক টন সেখানে দেড় লাখ টনের বেশী আমদানি পণ্য বন্দরে পণ্য জটের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা রাখলে আমদানি বাণিজ্য বাড়বে কিন্তু জায়গা সংকটের কারণে পণ্য রাখার ব্যাপারে নতুন জায়গা বাড়ানোর অনুরোধ করেন। বন্দরে ২শত একর জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে নতুন শেড অথবা ওপেন ইয়ার্ড নির্মাণ করা অতি জরুরি।

জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে বার বার বেনাপোল উন্নয়ন কমিটি থেকে বন্দরের জায়গা সংকটের ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বন্দরের এ সমস্যা আসলেও টনক নড়ে নাই সরকারের উচ্চ মহলের। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উপরে সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকে।