শাহআলম সজীব

০৯ মার্চ, ২০১৮ ১৫:৫৮

৯ মার্চ ১৯৭১

৭ মার্চের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ধারাবাহিকতায় ৭১ সালের ৯ মার্চ মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মুজিবের ঘোষণা অনুযায়ি পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

পল্টনে দলের বিশাল জনসভায় ভাসানী দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, অচিরেই পূর্ব বাংলা স্বাধীন হবে। তিনি যে ভাষণ দেন তার একাংশ হল:
''একদিন ভারতের বুকে নির্বিচার গণহত্যা করিয়া জালিয়ানওয়ালাবাগের মর্মান্তিক ইতিহাস রচনা করিয়া অত্যাচার অবিচারের বন্যা বহাইয়া দিয়াও প্রবল পরাক্রমশালী ব্রিটিশ সরকার শেষ রক্ষায় সক্ষম হয় নাই । শেষ পর্যন্ত তাহাদের শুভবুদ্ধির উদয় হইয়াছে।

পাক-ভারত উপমহাদেশকে শত্রুতে পরিণত না করিয়া সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মধ্যে একদিন সূর্য অস্ত যাইত না, রূঢ় বাস্তবের কষাঘাতে সে সাম্রাজ্যের সূর্য আজ অস্তমিত ।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকেও তাই বলি, অনেক হইয়াছে, আর নয় । তিক্ততা বাড়াইয়া আর লাভ নাই ।

'লা-কুম দ্বীনুকুম অলইয়াদ্বীন' এর নিয়মে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করিয়া লও।

মুজিবের নির্দেশ মতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কোন কিছু করা না হইলে আমি শেখ মুজিবুর রহমানের সহিত মিলিত হইয়া ১৯৫২ সালের ন্যায় তুমুল আন্দোলন শুরু করিব। খামোখা কেহ মুজিবকে অবিশ্বাস করিবেন না, মুজিবকে আমি ভালো করিয়া চিনি ।"

এ দিন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল লে.জে. টিক্কা খানের । কিন্তু তখন চলছিল অসহযোগ আন্দোলন । সব কিছুই চলছিল বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ।

এ অবস্থায় টিক্কা খানকে শপথ বাক্য পাঠ করাতে অস্বীকৃতি জানান পূর্বপাকিস্তান হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত