সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ জুলাই, ২০২০ ১৯:১১

করোনার টিকা নেওয়া সিলেটের তরুণের অভিজ্ঞতা

করোনা ভাইরাস টিকার সবশেষ ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ রাহাত আহমেদ রাফি। তিনি জানান, তার এই ক্লিনিক্যালি ট্রায়ালে অংশ নিতে কোনো ভয় লাগেনি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে এই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হচ্ছে। এই পরীক্ষায় অংশ নিতে সাত হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী নাম তালিকাভুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

মানুষের ওপর টিকা প্রয়োগ করে এটির কার্যকারিতা ও নিরাপদ যাচাই করা হবে। তৃতীয় দফায় সফল হলে সেই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়ে থাকে।

বিবিসিকে রাহাত আহমেদ রাফি বলেন, ‘মানুষ তো মরণশীল, আজ হোক কাল হোক মারা যেতে হবে। এর মধ্যে মানুষের কল্যাণের জন্য যদি কিছু করতে পারি, সেটাই আমার সার্থকতা।’

তিনি জানান, গত ২৪ জুলাই তাকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। ২১ দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

টিকা দেওয়ার পর তার হালকা মাথা ঘোরানো ছাড়া অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের সঙ্গে যৌথভাবে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেহা এবং গ্রুপ-৪২ নামের একটি কোম্পানি এই পরীক্ষা শুরু করেছে।

এর আগে চীনে এই টিকার প্রথম আর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হয়। দুইশর বেশি দেশের নাগরিক থাকায় তৃতীয় দফার পরীক্ষার জন্য আবুধাবিকে বেছে নিয়েছেন গবেষকরা।

রাহাত আহমদ রাফির বাড়ি সিলেটে। সিলেট থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আবুধাবিতে যান রাফি। সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে মিলে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু করোনায় তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে হয়ে যায়।

রাফি বলেন, ‘আমি রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ার হিসেবে এখানকার করোনা টেস্টিং সেন্টারে দুই মাস ধরে কাজ করছি। আমার দায়িত্ব যারা টেস্ট করাতে আসবেন, তাদের নাম-ঠিকানা কম্পিউটারে তালিকাভুক্ত করা।’

জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত