সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:২৩

গর্ভবতী ও ১৮ বছরের নীচের কেউ করোনার টিকা পাবে না

১৮ বছরের কম বয়সীদেরকে করোনার টিকা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। সন্তানসম্ভবা বা বিভিন্ন রোগ থাকলেও টিকা দেয়া হবে না।

এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে দেশে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকেই টিকা দেয়া হচ্ছে না।

এই নীতিমালা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করে দেয়া জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন জানিয়েছেন, তারা সেটা অনুসরণ করছেন মাত্র।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের টিকা পেতে জটিলতা হবে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জেলা পর্যায়ে কমিটি করেছি। সেই কমিটির মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিশ্চিত করা হবে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও বাংলাদেশে কবে শুরু হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। সরকার অক্সফোর্ডের তিন কোটি টিকা আনতে চুক্তি করলেও এই টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি।

ফাইজার ও মডার্নার যে টিকা নানা দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলোর সংরক্ষণের অবকাঠামো দেশে নেই জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা অক্সফোর্ডের টিকার অপেক্ষায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সবশেষ বৈঠকে জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই টিকা আসতে পারে। এ ছাড়া টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভির কাছ থেকে পৌনে সাত কোটি টিকা আসবে জুনের মধ্যে। এই টিকা আসবে বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা সরবরাহে তৈরি করা আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভেক্সের মাধ্যমে।

একেক জনকে টিকা দিতে হবে দুটি করে। ফলে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি টিকার সংস্থান হয়েছে, যা পাবে পাঁচ কোটি মানুষ। ১৭ কোটি মানুষের দেশে বাকি ১২ কোটি মানুষের টিকা কীভাবে আসবে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।

আবার তিন কোটি টিকা এলে কারা আগে টিকা পাবে, সেই বিষয়ে নীতিমালাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী। তাদের নির্দেশনা ১৮ বছরের কম বয়সী, গর্ভবতী মা ও অন্য কোনো রোগ আছে এমন ব্যক্তিকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে না। বাংলাদেশে এমন জনগণ রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন আনতে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ক্রয় অর্ডার দিয়ে রেখেছি, অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন পাব।’

টিকা এলে তা সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিকা কীভাবে বণ্টন ও বিতরণ হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। টিকা প্রয়োগ ও বিতরণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিন রাখার জন্য ইতিমধ্যে আমরা নতুন কিছু ফ্রিজ কেনার ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে যেসব ফ্রিজ আছে সেগুলোতে অন্যান্য টিকা রয়েছে।’

মন্ত্রীর দাবি, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সাফল্য দেখিয়েছে। আর এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ব্লমবার্গের একটি প্রতিবেদন ‍উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ২০তম স্থান পেয়েছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত