সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০২:০৬

দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও খালেদার করোনা

করোনার সব উপসর্গ সেরে গেলেও দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে এ তথ্য জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক দলের প্রধান এফ এম সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় পরীক্ষায় বেগম খালেদা জিয়াসহ চার জন করোনা পজিটিভ ফল পেয়েছি। বাকিরা করোনা নেগেটিভ। পাঁচ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হবে।’

রাত ১০টার দিকেও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এফ এম সিদ্দিকী ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান।

পজিটিভ হলেও শঙ্কামুক্ত

ডা. সিদ্দীকী বলেন, ‘আমরা আজ যে টেস্ট করিয়েছি সেখানে লো টাইপ পজেটিভ আসছে। তবে আমরা আশা করছি আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে উনি কোভিড নেগেটিভ হয়ে যাবেন।

‘আমরা বাসার সবার টেস্ট করিয়েছি। সেখানে ১৪ জনের মধ্যে ম্যাডামসহ চারজনের পজিটিভ, বাকি সবার নেগেটিভ আসছে। তবে সবাই শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কেন শঙ্কামুক্ত বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দেন এই চিকিৎসক। বলেন, ‘আজকে ১৭ তম দিন পার হয়ে ১৮ তম দিনে আমরা প্রবেশ করেছি। উনার কোভিড সিম্পটম যদি আমরা কাউন্ট করি, সে হিসেবে আমরা মনে করছি যে কোভিডজনিত যে ডেঞ্জার পিরিয়ড, সেটা ম্যাডাম পার হয়ে গিয়েছেন। কোভিডের দ্বিতীয় সপ্তাহের যে জটিলতা, সেই জটিলতা হয়নি৷ যে সমস্ত বিপদ বা যা কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেগুলো থেকে উনি আশঙ্কামুক্ত৷

‘ম্যাডামের সর্বশেষ অবস্থা মেডিক্যাল বোর্ড রিভিউ করলাম এতক্ষণ। রিপোর্টগুলো দেখেছি, সবগুলো রিপোর্ট আজকে নতুন করে করা হয়েছে। ওনার (খালেদা জিয়া) ফিজিক্যাল কন্ডিশন দেখেছি, ফিজিক্যালি ম্যাডাম আগের থেকে বেশ ভালোই আছেন, ওনার অবস্থা স্থিতিশীল।’

অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে

ডা. সিদ্দিকী জানান, কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ঘরে ফেরার পর করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা বিএনপি নেত্রীর অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেননি। এখন যেহেতু করোনা সংক্রমণ হয়েই গেছে, তাই সেই পরীক্ষাগুলো তারা করবেন।

‘প্রায় এক বছর উনি কোয়ারাইন্টাইনের মধ্যেই ছিলেন। উনার কোনো কিছু পরীক্ষা করতে পারিনি, বিকজ উনার তখন কোভিডের ভয় ছিল, সংক্রমণের ভয় ছিল। কিন্তু যেহেতু উনি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন, এখন মেডিক্যাল বোর্ডের প্ল্যান হচ্ছে, করোনা রিলেটেড যতগুলা টেস্ট করেছি, তার বাইরেও অন্যান্য বিভিন্ন শারিরীক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার। যেগুলা আমরা আশা করছি যে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা করব৷’

করোনা সংক্রমণ কবে ধরা পড়ে

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কেবল তিনি নন, তার বাসার আরও নয় জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়।

শুক্রবার রাতে বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসকরা জানান, তার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। আর শনিবার তার কাছ থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত