নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:২০

ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে সিলেটে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসককে

সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান।

তিনি বলেন, তাকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স রেডি হয়ে গেছে। তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। তাই তাকে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় জানান, চিকিৎসক বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার প্রেরণের। এছাড়াও আক্রান্ত চিকিৎসকের পরিবারেরও দাবি ছিল এটি।

 

এমতাবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

 

বুধবার সকালে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার রাতে সিলেটের করোনা আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তবে আজ বুধবার সকাল থেকে তিনি একটু ভালো আছেন।

এর আগে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয়। প্রথমে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হলেও পরে সাড়ে ১১টার দিকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (৫ এপ্রিল) সিলেটে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রথম আক্রান্ত হিসেবে এই চিকিৎসককে সনাক্ত করা হয়। সেদিন রাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর বরাত দিয়ে ওই রোগীর কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়ার তথ্য জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।

তখন তিনি জানান, আক্রান্ত চিকিৎসক বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার তার রক্তের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করলে রোববার বিকেলে রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা জানানো হয়। তবে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও সে সময় জানান সিভিল সার্জন।

এদিকে সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, সিলেটে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সেই চিকিৎসক রোগীর সংস্পর্শে এসেই সংক্রমিত হন।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর প্রবাসীবহুল হিসেবে সিলেটকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল বলে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চালু করা হয় করোনা আইসোলেশন সেন্টার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত