০২ মে, ২০২০ ১৩:২৪
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্বমহামারী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগেই, আরও দুই ধাপে সংক্রমণের ধাক্কা সামলানোর জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শুক্রবার (১ মে) সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আঞ্চলিক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ প্রধান ডা. হ্যান্স ক্লুজ এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
বিজ্ঞাপন
ব্রিফিংয়ে ডা. ক্লুজ বলেন, ইউরোপ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতম প্রথম ধাপ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে পৃথিবী সহসাই করোনামুক্ত হচ্ছে না। বিশ্ববাসীকে আরও দুই ধাপে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার প্রস্তুতি রাখতে হবে।
এর আগে নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা ফার্মাসিউটিক্যাল। ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) অধীনে ট্রায়ালে থাকা ওই করোনা ভ্যাকসিনের কৌশলগত উন্নয়ন, প্রস্তুতকরণ এবং বিতরণের ব্যাপারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধায়নে কাজ করবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে প্রথম ধাপে বিশ্বমহামারী কোভিড-১৯ সংক্রমণের গতি এতো বেশি ছিল যে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন ডা. হ্যান্স ক্লুজ।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ধাপ থেকে আমাদের জন্য শিক্ষা হলো– রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ সুস্থতাই অর্থনৈতিক নিরাপত্তার মূল চালিকা শক্তি। এখন যেমন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেশে দেশে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে। তাই সর্বাগ্রে স্বাস্থ্যখাতকে বিবেচনা করে আগামী দিনের সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বিশ্বের ২১০ দেশ ও অঞ্চল এবং তিনটি প্রমোদতরীতে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। ভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট বিশ্বমহামারী কোভিড-১৯ রোগে শনিবার (২ মে) পর্যন্ত ৩৪ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৬ জনের এবং সুস্থ হয়ে নিয়মিত জীবনে ফিরে গেছেন ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩ জন।
আপনার মন্তব্য