সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ মার্চ, ২০২১ ০৩:৩৯

গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের ২০২০ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সোমবার বিকেলে এই পুরস্কার ঘোষণা করে।

মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করে দেশটির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উত্তরণে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

গান্ধী শান্তি পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বিচারকমণ্ডলীর অন্য সদস্যরা হলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সামাজিক সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধ্যেশ্বর পাঠক। গত শুক্রবার বৈঠকে বিচারকমণ্ডলী ২০২০ সালের পাশাপাশি ২০১৯ সালের পুরস্কার প্রাপকের নামও চূড়ান্ত করেন। ২০১৯ সালের পুরস্কার দেওয়া হয় ওমানের প্রয়াত সুলতান বিন সায়েদ আল সায়েদকে।

পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি রুপি। সঙ্গে দেওয়া হয় মানপত্র ও ঐতিহ্যপূর্ণ হস্তশিল্প সামগ্রী। ১৯৯৫ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

অতীতে গান্ধী শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন তানজানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস নায়ার, নেলসন ম্যান্ডেলা, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, রামকৃষ্ণ মিশন, বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংক।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের দিন টুইটে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব ভারতীয়র কাছে এক আদর্শ ব্যক্তিত্ব। ভারতীয়দের কাছেও তিনি বীর। তিনি ছিলেন মানবিধাকার ও স্বাধীনতার রক্ষক।

গান্ধী শান্তি পুরস্কার বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করে বলেছে, স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত গড়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। দেশকে তিনি স্থিতিশীল করেছেন। তার আদর্শেই গড়ে উঠেছে ভারত–বাংলাদেশ সুসম্পর্কের ভিত। সৃষ্টি হয়েছে উপমহাদেশে শান্তি ও অহিংসার বাতাবরণ।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করায় ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতির জনককে সম্মানজনক এই পুরস্কারে ভূষিত করাটা বাংলাদেশ ও তার জনগণের জন্য সম্মানের।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজের দেশের জনগণের স্বাধীনতা, অধিকার, আকাঙ্ক্ষা ও মুক্তির লড়াই এবং ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বঞ্চনামুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনব্যাপী সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার এসেছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারত যখন যৌথভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছে, সেই বছরে এই পুরস্কার বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধারও স্মারক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত