নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:১৪

মাঠে দেখা নেই, ভিন্ন কৌশলে তারা

সিলেটের ৬টি আসন

কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও সিলেটে এখন পর্যন্ত সমানতালেই প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। মামলা-গ্রেপ্তার সত্ত্বেও সিলেটের ৬টি আসনেই প্রচারণায় রয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা। তবে এসত্ত্বেও সিলেটের ৪৩ প্রার্থীর মধ্যে মাঠে নেই অন্তত ১৪ প্রার্থী। নির্বাচনে প্রার্থী হলেও তেমন প্রচারে নেই তাঁরা। তবে এসব প্রার্থীরা জানিয়েছেন, ভিন্ন কৌশলে মাঠে রয়েছেন তাঁরা।

সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন ১০জন। এখানে প্রচারণায় যথারীতি এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেন ও বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মালিক। তবে এই আসনের অন্তত ৪ জন প্রার্থীকে এখন পর্যন্ত প্রচার প্রচারণায় দেখা যায়নি। প্রচারণায় নেই ইসলামী ঐক্যজোটের মুহম্মদ ফয়জুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইউসুফ আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আনোয়ার উদ্দিন বুরহানাবাদী ও খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা নাসির উদ্দিন। এরমধ্যে আনোয়ার উদ্দিন বুরহানাবাদীর মনোনয়ন প্রথম দফায় বাতিল হলে পরে নির্বাচন কমিশনে আপীল করে তিনি তা ফিরে পান। এরপর প্রচারণার মাঠে দেখা নেই মুসলিম লীগের এই প্রার্থীর। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইউসুফ আহমদ বলেন, আমি প্রচারণায় সরব আছি। তবে ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছি। আ. লীগ-বিএনপির মতো প্রচুর কর্মী না থাকায় আমাদের ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে।

কোনো বাধা ছাড়াই প্রচারণা চালাতে পারছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার কোনো কারণ এখনও দেখছি না।

প্রচারণায় না থাকা সম্পর্কে ইসলামী ঐক্যজোটের মুহম্মদ ফয়জুল হক বলেন, নির্বাচন তো এখন টাকার খেলায় চলে গেছে। আমরা এই টাকার খেলায় নেই। আমরা আমাদের মতো করে প্রচারণা চালাচ্ছি। দেশও এখন দুইভাগে বিভক্ত। মানুষজনও যারা ক্ষমতায় ছিলো বা আছে তাদের সাথেই থাকতে পছন্দ করে। ফলে আমাদের প্রচারণা ততোটা নজর কাড়ে না।

তবে সিলেটে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর।

সিলেট-২ আসনের ৯ প্রার্থীর মধ্যে অন্তত ৩ জন প্রার্থীকে এখন পর্যন্ত কোন মাইকিং, গণসংযোগ কিংবা লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায়নি। আরও তিন প্রার্থীও প্রচারণায় ততটা সরব নন।

এরমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান প্রথম প্রচারণায় নামেন গত সোমবার। এই আসনে ঐক্যফ্রন্টের আগের প্রার্থী তাহসীনা রুশদীর লুনার মনোনয়ন উচ্চ আদালত বাতিল করায় মোকাব্বিরকে সমর্থন জানানো হয়। এরপর যুক্তরাজ্য থেকে এসে সোমবারই প্রথম প্রচারণায় নামেন উদীয়মান সূর্য প্রতীকের এই প্রার্থী।

এ আসনে মাঠে প্রচারণায় নেই বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট’র টেলিভিশন মার্কার প্রার্থী মোশাহিদ খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম মার্কার মনোয়ার হোসাইন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমির উদ্দিন।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোকাব্বির খান বলেন, বিএনপির তাহসিনা রুশদীর লুনাকে সমর্থন জানিয়ে আমি যুক্তরাজ্যে চলে গিয়েছিলাম, সেজন্য প্রচারণা চালাননি। লুনার মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় দেশে ফিরে প্রচারণায় নেমেছি।

সিলেট-৩ আসনের ৬ প্রার্থীর মধ্যে প্রচারণায় নেই খেলাফত মজলিসের আতিকুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এম এ মতিন বাদশা।

তবে সিলেট-৪ আসনে প্রচারণায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও মাঠে সরব রয়েছেন অন্য ৩ প্রার্থীও।

সিলেট-৫ আসনে ৮ প্রার্থীর মধ্যে প্রচারণায় নেই ইসলামী ঐক্যজোটের এ এ মতিন চৌধুরী, মুসলিম লীগের শহিদ আহমদ চৌধুরী ও গণফোরামের বাহার উদ্দিন আল রাজী।

এ ব্যাপারে শহিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, আমি এলাকায় কিছুটা দেরীতে এসেছি। তাই প্রচারণায় পিছিয়ে আছি। তাছাড়া আমার এলাকার বেশিরভাগ ভোটার পাথর শ্রমিক। টাকা ছাড়া এখানে প্রচারণা চালানো কঠিন।

সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী আছেন ৬জন। এরমধ্যে বিকল্পধারার প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। আর প্রচারণায় তেমন তৎপর নন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত