লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তার ইচ্ছার কথা কেন্দ্রে জানিয়েছেন। বিএনপি চাইলে নির্বাচন বর্জনকে স্বাগত জানানোর কথাও বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোট বর্জনের জন্য দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অবহিত করেছেন বলে বিএনপির একটি সূত্রে জানা যায়।

এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন করার কোনো পরিবেশই তার এলাকায় নেই। তার এলাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় শাসক দলের পেটোয়া বাহিনী সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনেও তিনি প্রচার কাজ করতে পারেননি। এ অবস্থায় আর বর্জনের বিষয়ে তা ইচ্ছার কথা তিনি কেন্দ্রকেও জানিয়েছেন।

২৪ ডিসেম্বর সোমবার গণসংযোগের সময় শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তিন সাংবাদিক, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৩০ জন আহত হন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শান্তিরহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এলাকায় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করা হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ কেউ আমার ফোন ধরছেন না। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

এ অবস্থায় তিনি নির্বাচন বর্জন করার পক্ষে বলে জানান।

নির্বাচন বর্জন করার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন এ্যানি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বলেছি, নির্বাচন করার মতো কোনো পরিবেশ নেই। দেশবাসী এটা দেখছে। আর নির্বাচন বর্জন যে যথাযথ (অ্যাপ্রোপ্রিয়েট), দেশবাসী এটা বিবেচনা করবে। নির্বাচন বর্জন করলেও যা হবে, না করলেও তা হবে।’

তবে তিনি এটাও বলেন, ‘পার্টি যদি বর্জন না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যদি মনে করে আমাদের থাকতে হবে, তবে আমি নির্বাচনে থাকব। রক্তাক্ত হয়ে, হামলার শিকার হয়েও থাকব। রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রে থাকব। রক্তাক্ত শরীর নিয়েও থাকব।’

শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি দাবি করে বলেন, সংসদ নির্বাচনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে দল ও জোটের বিভিন্ন প্রার্থীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তারাও বলেছেন, নির্বাচন করার কোনো পরিবেশ নেই।

তবে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার পাল জানান, ‘উনি (এ্যানি) যখন যে সহযোগিতা চেয়েছেন, তা দিয়েছি। গতকালও ওনার সঙ্গে কথা হলো। এত দিন একবারও কোনো অভিযোগ এল না। আজ কেন তিনি অভিযোগ করলেন?’

আজ প্রচার না চালাতে পারার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আজ সবারই প্রচারণা কম দেখছি। আজ তো কোনো কিছু তিনি (এ্যানি) চালাননি।’

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেনের দাবি, ‘ওনাকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার মতো কোনো কথা বলিনি। হামলা-মামলার ঘটনাও সঠিক নয়।’