শাহ শরীফ উদ্দিন

২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:৩৩

নির্বিঘ্ন ভোট চান তাঁরা

ভোটের বাকি মাত্র এক দিন। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে নির্বাচনী সকল প্রচার প্রচারণা। তবে এখনো কাটেনি শঙ্কা। সুষ্ট নির্বাচন হবে তো- এই প্রশ্ন রয়ে গেছে ভোটারদের মধ্যে। ভোটের দিন সংঘাত আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তবে সকলেরই প্রত্যাশা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সিলেটের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম'র কাছে জানিয়েছেন এই প্রত্যাশার কথা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দুটি হাত। একটি হলো জনপ্রশাসন অপরটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ দুই বিভাগ নিতি নৈতিকতা বজায় রেখে কাজ করার মাধ্যমে ভোটের সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখবে এমনটি প্রত্যাশা করেন তিনি।

সিলেট জেলা সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেটের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম ভোটের বর্তমান পরিবেশ নিয়ে কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে যে পরিবেশ আছে তাতে কিছুটা সন্তুষ্ট হলেও খুব বেশি একটা সন্তুষ্ট হতে পারছি না। তাই ভোটের দিন যাতে নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয় নিশ্চিত করা প্রশাসনের কাজ। তাই প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে ভোটের পরিবেশ বজায় রাখবে সেটাই প্রত্যাশা।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা। তিনি বলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বলবো আমাদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যথেষ্ট তৎপর। তাছাড়া যেহেতু আমাদের গর্বের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে আছে সুতরাং ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আশা করি ভোটের দিন মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

আইনজীবী সমিতির এ নেতা ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম। তিনি বলেন, বর্তমানে জনগণের মাঝে এক ধরণের উৎকণ্ঠা কাজ করছে, বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বিভিন্নরকম বাধার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যদি এরকম পরিবেশ থাকে তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভোটের দিন এমন পরিবেশই কাম্য যাতে সকল দলের সমান সুযোগ থাকে এবং মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পক্ষে হবে জনগণের ভোট এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, এখনো সিলেটে ভোটের পরিবেশ ভালো। আশা করি শেষ পর্যন্ত এমন পরিবেশই থাকবে। ৩০ তারিখ মানুষ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে। জনগণের ভোট হবে স্বাধীনতার পক্ষে এমনটি প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কথা বিবেচনায় রেখেই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত