আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বেগম মুশতারী শফী ও স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন

ফরিদ আহমেদ  

১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখে আকাশ ভেঙে পড়েছিলো বেগম মুশতারী শফীর মাথায়। এইদিন চট্টগ্রামে তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে একদল পাকিস্তানি সৈন্য। সমস্ত বাড়ি অনুসন্ধান করে তারা। এবং বিস্ময়করভাবে তাদের বাড়ির উপরতলায় কয়েক বাক্স ভর্তি গুলি উদ্ধার করে তারা। স্বাভাবিকভাবেই সৈন্যরা তাঁর স্বামী ডাক্তার শফী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একমাত্র ছোটভাই এহসানকে ধরে নিয়ে যায়। ছোট ছোট সাতটি সন্তান নিয়ে অন্ধকার সমুদ্রে সন্তরণে নামতে হয় তাঁকে।

তাঁর দন্ত্য চিকিৎসক স্বামী মোহাম্মদ শফীকে আগের দিনও পাকিস্তানি সৈন্যরা ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু, তাঁর ভাগ্য ভালো ছিলো। ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাবার পরে ব্রিগেডিয়ার বেগের কারণে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। ব্রিগেডিয়ার বেগ একসময় তাঁর রোগী ছিলেন। দ্বিতীয়বারে অবশ্য ছাড়া পাওয়ার সেই সৌভাগ্য আর তাঁর হয়নি। তিনি এবং মুশতারী শফীর ছোট ভাই এহসান আর কখনো ফিরে আসেননি। তাঁদের লাশও পাওয়া যায়নি।

মুশতারী শফীর জীবনের এই বিপর্যয়ের মূলে ছিলেন চট্টগ্রামের ন্যাপ নেতা চৌধুরী হারুন। ঢাকায় ক্র্যাকডাউন শুরু হবার পরপরই তিনি কয়েক বাক্স গুলি নিয়ে এসে ডা. শফীর জিম্মায় রাখেন। আর সেই গুলি ভর্তি বাক্সের কারণেই বিপদে পড়তে হয় ডা. শফীকে, তার শ্যালক এহসানকে। সর্বোপরি পুরো পরিবারটাই চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়।

স্বামী এবং ভাইকে নিয়ে গিয়েই ক্ষান্ত হয় না পাকিস্তানিরা। পরদিন তাদের একটা অংশ এসে পঞ্চাশ হাজার টাকাও দাবি করে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতে অন্ধকারে চট্টগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন বেগম মুশতারী শফী। সাত সন্তানকে পাঠিয়ে দেন ছোটবোন ইসমতের কাছে। আর নিজে এবং তাঁর বাড়িতে কিছু আশ্রিত আত্মীয়কে সাথে নিয়ে প্রবল বিপদের ঝুঁকি নিয়ে মিরেশ্বরাইয়ের দিকে। রাতের আঁধারে অতি সন্তর্পণে পালাতে হয়েছিলো বলে আলমারি খুলে গয়নাগাটি বা কোনো টাকাপয়সাও সাথে নিতে পারেননি। সাথে করে নিয়েছিলেন শুধু তাঁর ডায়েরিটা। সেটাতেই যুদ্ধের নয় মাসের বিবরণ তিনি লিখে গিয়েছেন। আর সেই ডায়েরির লিখনিতেই উঠে এসেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অকৃত্রিম ইতিহাস। ১৯৯০ সালে প্রকাশ করেছেন 'স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন' নামে।

আগেই বলেছি, বেগম মুশতারী শফীর স্বামী মোহাম্মদ শফী ছিলেন চট্টগ্রামের বিখ্যাত দন্ত্য চিকিৎসক। কিন্তু স্বামীর নামে নয়, মুশতারী শফী স্বনামেই পরিচিত ছিলেন। লেখক হিসাবে তাঁর আলাদা নামডাক ছিলো। ১৯৪৯ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় মুকুলের মাহফিলে ছোটগল্প লেখার মধ্য দিয়ে লেখালেখির সূচনা করেছিলেন তিনি। ষাটের দশকে এসে নারীমুক্তি আন্দোলনের সাথেও জড়িয়ে পড়েন। বান্ধবী সংঘ নামে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি চট্টগ্রামে। সংঘের মুখপত্র হিসাবে ১৯৬৪ সাল থেকে 'বান্ধবী' নামে একটা পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন। এটা মাসিক পত্রিকা ছিলো। এই পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। ১৯৬৯ সালে 'বান্ধবী' পত্রিকার নিজস্ব প্রেসও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এই প্রেস সম্পূর্ণ মেয়েদের দিয়ে পরিচালিত হতো। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদাররা সেই প্রেস ধ্বংস করে দেয়।

চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে মিরেশ্বরাইয়ে যাওয়াটা খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা ছিলো না। পদে পদে বিপদকে সামলে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় মিরেশ্বরাইয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। যে 'মেজো ভাইয়ের' আশ্রয়ে তাঁরা ছিলেন, তাঁর নিজেরও আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। ফলে, এক মাস পর থেকেই লঙ্গরখানার খাদ্যের উপরে ভরসা করতে হয় তাঁদের সবার। এই অবস্থায় সন্তান-সন্ততিসহ ভারতে শরণার্থী হিসাবে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ছোটবোনের বাসা থেকে সব সন্তানকে নিয়ে আসার জন্য বলেন। তাঁর চৌদ্দ বছরের বড় কন্যা ইয়াসমিন ছাড়া বাকি সবাই চলে আসে। এদের নিয়ে নানা দুর্গম পথ অতিক্রম করে আগরতলার শরণার্থী শিবিরে পৌঁছান তিনি। ওখানে গিয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের এবং বামপন্থীদের নেতাদের দেখা পান তিনি। দেখা হয় চৌধুরী হারুনের সাথেও। চৌধুরী হারুন একটা দায়সারা গোছের ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন তাঁর কারণে মুশতারী শফীর জীবনে এই বিপর্যয় নেমে আসার কারণে। মুশতারী শফী তাঁকে সরাসরি দায়ী করে কিছু না বললেও পরবর্তীতে চট্টগ্রামের অগ্নিযুগের বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারের স্ত্রী শান্তি দেবী তাঁকে সরাসরি তার স্বামীর খুনি হিসাবে চিহ্নিত করেন। চৌধুরী হারুনদের ভরসায় আগরতলার পথ ধরেছিলেন পূর্ণেন্দু দস্তিদার। কিন্তু, নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁদের জন্য অপেক্ষা না করে চৌধুরী হারুন চলে আসেন। বয়োবৃদ্ধ এবং অসুস্থ পূর্ণেন্দু দস্তিদার পথের দুর্গমতা সহ্য করতে পারেননি। মারা যান তিনি পথিমধ্যে।

শরণার্থী শিবিরে পরাশ্রয়ী জীবন শুরু হয় মুশতারী শফীর। এর মধ্যেও স্বেচ্ছাশ্রমে নানা কাজ করতে থাকেন তিনি। কখনো কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করা ফিল্ড হাসপাতালে সেবিকার কাজও করেন। এখানে বেশ কিছুদিন থাকার পরে কোলকাতায় চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কোলকাতায় গিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জন্ম হয়েছিলো চট্টগ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পরপরই। এর যে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বেলাল মোহাম্মদ। বেলাল মোহাম্মদ মুশতারী শফীদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন। এই বেতার কেন্দ্র গঠনের প্রাথমিক পরিকল্পনাও মুশতারী শফীদের বাড়িতেই হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কোলকাতায় যাওয়ার পরে বেলাল মোহাম্মদ মুশতারী শফীকে যুক্ত করে দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে। বিভিন্ন নাটকে অংশ নেন তিনি, কথিকা লেখেন। এগুলোর মাধ্যমে কিছু উপার্জনও হতে থাকে তাঁর। বিশাল একটা সংসার চালানোর জন্য এই রোজগারগুলো তাঁর প্রয়োজন ছিলো। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পাশাপাশি আকাশবাণীর জন্যেও লেখালেখি শুরু করেন তিনি। যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন, সেখানে কোনো ইলেক্ট্রিসিটি ছিলো না। ফলে, এমনও হয়েছে সবাই ঘুমোনোর পরে পার্কের গিয়ে সেখানকার আলোতে বসে গল্প লিখেছেন তিনি। একজন তিরিশ-বত্রিশ বছর বয়সের নারীর এই জীবন সংগ্রাম অতুলনীয়।

বেগম মুশতারী শফী তাঁর ডায়েরিতে শুধু নিজের জীবন সংগ্রামের কথাই লেখেননি। নির্মোহভাবে ভারতে অবস্থিত আমাদের অনেক নেতাদের, অনেক বেতার সৈনিকদের বিষয়েও তাঁর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু, চট্টগ্রামে বামপন্থীদের সাথেও তাঁর সখ্যতা ছিলো প্রচুর। ফলে, আগরতলাতে গিয়ে তিনি এই দুইপক্ষকেই কাছাকাছি থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এর ফলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব যেমন জানতে পেরেছি আমরা, একইভাবে দুই অংশের অনেক সংকীর্ণতার বিষয়ও জেনেছি আমরা। জেনেছি তাঁদের প্রকট সীমাবদ্ধতার কথাও। অনেক নির্মম সত্যকে প্রকাশ করে দিয়েছেন তিনি। ফলে, এটা আর শুধু স্মৃতিচারণ থাকেনি। হয়ে উঠেছে নির্মম সত্য প্রকাশের এক মাধ্যম। তিনি নিজেই এই বিষয়ে বলেছেন, “এ আমার কেবলই স্মৃতিচারণা। আর এই স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কিছুটা যা এসেছে, তা হলো নির্মম সত্যের প্রকাশ। তবু আরও কিছু রয়ে গেলো অব্যক্ত। আমি জানি, আমার এইটুকু প্রকাশে হয়তো অনেকেই মনঃক্ষুণ্ণ হবেন। তাঁদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে বলছি, আমি নিরুপায়। আমার প্রজন্মের কাছে সব সত্য গোপন করে আমি অপরাধী হয়ে থাকতে পারবো না।"

ডায়েরি হিসাবে লেখা মুক্তিযুদ্ধের যেসব ইতিহাস আমাদের আছে, তার মধ্যে অন্যতম সেরা এবং জনপ্রিয় হচ্ছে জাহানারা ইমামের লেখা 'একাত্তরের দিনগুলি'। 'একাত্তরের দিনগুলি'-তে জাহানারা ইমাম অবরুদ্ধ ঢাকা শহরের বর্ণনা দিয়েছেন, বর্ণনা দিয়েছেন ঢাকায় গেরিলা কর্মকাণ্ডের। একই সাথে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রুমি এবং তাঁর বন্ধুদের কল্যাণে সীমান্তের ওপারের ট্রেনিং ক্যাম্পগুলোর কথাও এসেছে। জাহানারা ইমামের চেয়েও মুশতারী শফীর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বেশি। তিনি প্রথমে পালিয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে। গিয়েছে মিরেশ্বরাইয়ে। সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে গিয়ে উঠেছেন বামপন্থীদের পরিচালিত শরণার্থী শিবিরে। অংশ নিয়েছেন ফিল্ড হাসপাতালে। পরবর্তীতে কোলকাতায় গিয়ে যুক্ত হয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে। ফলে, তাঁর বইতে প্রত্যক্ষজাত অসংখ্য বিষয় আছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের। দুর্ভাগ্য যে 'একাত্তরের দিনগুলি' যে প্রচারণা পেয়েছে মুশতারী শফীর লেখা 'স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন' সেই প্রচারণা পায়নি। এটা থেকে গিয়েছে অলক্ষ্যে।

অথচ, এই বইটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অমূল্য দলিল। সেই দলিলের সন্ধান সেভাবে আমরা জানি না। সন্তোষ গুপ্ত দৈনিক সংবাদে লিখেছিলেন, “বেগম শফীর দিনগুলো কিভাবে কেটেছে ভারতে তার বর্ণনা ব্যক্তির গণ্ডি ছাড়িয়ে সকলের সংগ্রাম, সকলের চিন্তা-চেতনার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাহিনী। নিজের ভূমিকাকে অপ্রধান করে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন নেয়া ও কর্মীর ভূমিকা, অন্যের সুখ-দুঃখ ও ব্যক্তিগত জীবনের সুবিধা-অসুবিধা সবকিছুই উজ্জ্বল করে তুলে ধরা হয়েছে। অসঙ্গতির দিকগুলো যেমন গোপন করা হয়নি, তেমনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাজ-কর্ম, গৌরবময় ঘটনাবলীকেও তুলে ধরা হয়েছে অপক্ষপাত দৃষ্টিতে। .... এ গ্রন্থ বেগম শফীর নিজের কথা নয়, একটি জাতির আত্মকথা, এখানেই বৈশিষ্ট্য এই গ্রন্থের।"

একাত্তর আমাদের যেমন এক অসীম গৌরবের সময়, একইভাবে ভয়াবহ এক দুঃসময়েরও সময়। একটা স্বাধীন দেশ পাবার জন্য অসংখ্য মানুষ আত্মত্যাগ করেছে সেই দুঃসময়কে অতিক্রম করার জন্য। এই গৌরবের ইতিহাসকে, এই আত্মত্যাগকে আমাদের জানানোর প্রয়োজন রয়েছে নতুন প্রজন্মকে। একটা স্বাধীন দেশ পেতে পূর্ব প্রজন্ম কতোটা ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেটা জানলেই শুধুমাত্র গভীর মমতা তারা অনুভব করবে দেশের জন্য।

ফরিদ আহমেদ, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ