প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
ডা. সাঈদ এনাম | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮
সুইসাইড বা আত্মহত্যা হলো নিজেই নিজেকে হত্যা করা। এটা হলো অস্বাভাবিক চিন্তার জগতের থেকে সম্পাদিত ক্রিয়া। সুইসাইড সব রকমের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। সুইসাইড কুখ্যাত লোকদের মধ্যে যেমন আছে তেমনি বিখ্যাত লোকদের মধ্যেও আছে। কিংবদন্তির মধ্যে আছে, আছে রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীদের মাঝে। সুইসাইড বুড়োদের মধ্যে যেমন আছে তেমন আছে তরুণদের মধ্যে। বিবাহিত অবিবাহিত, প্রেমিক প্রেমিকা, চোর সাধু, প্রতিষ্ঠিত ব্যর্থ, বেকার ব্যস্ত, নায়ক, খলনায়ক, বিজ্ঞানি, অবিজ্ঞানি সবার মধ্যেই কমবেশি সুইসাইড রয়েছে।
আমেরিকায় প্রতি বছর গড়ে ৪৫ হাজারের অধিক মানুষ সুইসাইড বা আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা সবচেয়ে বেশি করে হতাশাগ্রস্ত তরুণ-তরুণীরা। বয়স্কদের মধ্যে আত্মহত্যা দেখা যায়।
জাপানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে আত্মহত্যা বেশি দেখা যায়। একদিন আগেও সকাল কিংবা বিকালে যে বয়োঃবৃদ্ধ লোককে আপনি কর্মক্ষেত্রে বা গার্ডেনে পায়চারি করতে দেখলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন তার বাসার সামনে পুলিশ। দরজা ভেঙে মরদেহ বের করা হচ্ছে।
একবার জাপানে মানসিক রোগ বিষয়ে এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েকজন ডাক্তার, পরিচিতজনের সাথে কথা বলে জানা গেলো তার কারণ। ওদের তো সবই আছে, ওরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি, তবে কেনো তাদের মাঝেও আত্মহত্যা। এর মুল কারণ কী?
বাংলাদেশে আত্মহত্যার সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিবছর অনেক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগই তরুণ তরুণী। মানসিক রোগী, মাদকাসক্ত, সামাজিক পারিবারিক, দৈহিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীতরাই বেশি আত্মহত্যা করতে দেখা গেছে। অনেক সময় দারিদ্রতার জন্যে সপরিবারে আত্মহত্যার খবরও পত্রিকায় দেখা যায়। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান নেই, কারা কেনো আত্মহত্যার মত ভয়ানক ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিচ্ছে।
আত্মহত্যা কখন, কারা:
আত্মহত্যা নারীদের তুলনায় পুরুষের মধ্যে বেশি। ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ আত্মহত্যা। নারীরা পুরুষদের তুলনায় আত্মহত্যার প্রচেষ্টা একাধিকবার চালায় এবং তারা সাধারণত পয়সনিং জাতীয় দ্রব্যাদির ব্যবহার করে। পুরুষরা অধিকতর বিপদজনক পদ্ধতি বেছে নেন আত্মহত্যার জন্যে, যেমন পিস্তল শুটিং বা উপর থেকে ঝাঁপ দেয়া।
আমাদের দেশে তরুণীদের মধ্যে কীটনাশক খেয়ে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করতে বেশি দেখা যায়। গ্রাম অঞ্চলে পোকামাকড় নিধনের ওষুধ এবং শহরের মেয়েদের মধ্যে হারপিক, কেরোসিন বা ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেশি।
বিবাহিত পুরুষ আত্মহত্যার জন্যে পিস্তল ব্যবহার এবং অবিবাহিতরা পুরুষ সাধারণত ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা। তারা সাধারণত বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে কিংবা নিত্য ব্যবহৃত ওষুধ অতিমাত্রায় সেবনের মাধ্যমে আত্মহত্যা করেন। সৌন্দর্য সচেতন থাকায় আত্মহত্যার জন্যে নারীরা সাধারণত মাথায় পিস্তল স্যুট করেন না। তবে অনেক সময় তাদেরকে হাত পা কেটে রক্ত ক্ষরণের মাধ্যমে আত্মহত্যা করতে দেখা যায়।
উন্নত দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা শীতকালে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে অধিক দেখা যায়। ধনী দেশগুলোর চেয়ে গরীব দেশের মানুষ বেশি আত্মহত্যা করে। তবে রাশিয়াতে প্রচুর ধনী লোকজন আত্মহত্যা করে থাকেন।
নারীরা একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, যা পুরুষদের বেলায় খুব একটা দেখা যায়না। তাদের এই একাধিক বার আত্মহত্যার চেষ্টাকে অনেকে আবার 'তার প্রতি বা তার চাওয়া পাওয়ার দৃষ্টি নিবন্ধন করার চেষ্টা' (এটেনশন সিকিং) বলে মনে করেন, যা সম্পূর্ণ ভুল।
কেউ যদি বলে, আমি চলে যাবো, আমি কিন্তু মরে যাবো, আমাকে আর পাবেনা বা আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছা করেনা, তবে সেটা অবশ্যই অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। তাকে সাইকিয়াট্রিক কাউনসেলিং নিতেই হবে। কারণ যারা আত্মহত্যা করেছে তারা এ ধরনের কথা প্রায়শ বলেছে।
বাংলাদেশে আত্মহত্যার সংখ্যা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন ডাটা নেই, তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণগুলো খুব স্পষ্ট এবং প্রায় সবক্ষেত্রেই একই ধাঁচের। মানসিক রোগ, মাদকাসক্তি, প্রেমে ব্যর্থতা, শারীরিক মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষায় ফেল, সহায় সম্পত্তি হারিয়ে ফেলা, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়া, অপমানিত, অপদস্থ হওয়া, ধর্ষিত হওয়া ইত্যাদি কয়েকটি কারণই প্রধান। অনেককে দারিদ্রতার কারণে আত্মহত্যা করতেও দেখা যায়।
দুই.
প্রতিটি আত্মহত্যা প্রতিটি পরিবারের জন্যে বেদনাময়। প্রতিটি আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণও আছে। এটা এমন না যে গায়েবি কেউ বললো আর ওমনি কেউ আত্মহত্যার জন্যে ঝাঁপ দিলো। তবে মানসিক বিকারগ্রস্থদের বা মাদকাসক্তদের কথা আলাদা। অনেক সময় তাদের হেলুসিনেসন হয়। তারা শুনতে পায় কেউ তাদের কমান্ড করছে, নিজেকে মেরে ফেলো। ফলে তারা আত্মহত্যা বা হত্যায় উদ্বুদ্ধ হয়।
আত্মহত্যার জন্যে কাউকে দায়ী করতে হলে প্রথমে যে বা যিনি আত্মহত্যা করেছেন তাকেই আমরা দায়ী করি। তারপর পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় আনি। কারণ প্রতিটি মানুষের জীবন তার নিজের কাছেই আগে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে নিজেই নিজেকে নিরাপদ রাখতে হয়। কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে এ মানুষটি নিজেই নিজেকে শেষ করেছে।
যেহেতু আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা ঘটনা ঘটে নিজগৃহে, কীটনাশক পানে অথবা গলায় দড়ি পেঁচিয়ে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে ঘরের সবাইকে আগে সাবধান ও সচেতন হতে হবে। জানতে হবে আত্মহত্যা কী, কারা করতে পারে। কারা ঝুঁকিতে আছেন।
অনেকে বলতে পারেন আত্মহত্যা কে বা কারা করবে, করবেনা সেটা আমরা কী করে বুঝবো বা আদৌ কি বিষয়টা আগে থেকে টের পাওয়া যায়? এর পরিষ্কার উত্তর হবে- 'হ্যাঁ'। আত্মহত্যা সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারনা থাকলেই তবেই তা সম্ভব। তাই সবার জানতে আত্মহত্যা কী?
আত্মহত্যাকারীর আত্মহত্যার ব্যাখ্যা:
বিশ্বের সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলজিস্টরা আত্মহত্যা নিয়ে অনুসন্ধান করতে আত্মহত্যাকারীদের বেশ কিছু 'সুসাইডাল নোট' বা আত্মহত্যাকারীর স্বহস্তে লিখে যাওয়া কিছু 'চিরকুট' নিয়ে গবেষণা করেছেন। সব ক্ষেত্রেই চিরকুটগুলোর সারমর্ম মোটামুটি এক। তা হলো:
অনেক সময় দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ভেবে বা নিজেকে অপাংক্তেয় ভেবে আত্মহননের পথ বেছে নেন। ঘোরতর মানসিক রোগীর কথা একটু ভিন্ন। রোগ হিসেবে বলতে গেলে বলতে হয়, আত্মহত্যার প্রধান কারণ হলো ডিপ্রেশন। প্রতি তিনজন ডিপ্রেশন রোগীর মধ্যে দুইজনকে আত্মহত্যা করতে দেখা যায়।
অনেকে মনে করেন সাময়িক কষ্ট, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ আত্মহত্যা করে, বিষয়টি আসলে ঠিক সে রকম না। তাহলে তো পৃথিবীর সবাই আত্মহত্যা করতো। মূলত আত্মহত্যাকারী নিজেকে বিশ্বাস করতে ব্যর্থ হয় যে তার বেঁচে থাকার আদৌ কোন মানে আছে। এটা তার থিঙ্কিং প্রসেসের ভুল।
আত্মহত্যার লক্ষণ:
প্রায় সকল ক্ষেত্রেই আত্মহত্যাকারীর আত্মহত্যা করার পূর্বে তার মধ্যে বেশ কিছু শারীরিক ও আচার আচরণের পরিবর্তন দেখা যা দেখে খুব সহজেই বুঝা যায় প্রিয় মানুষটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। পরিবর্তনগুলো অনেকটা এরকম:
১. তার আচার আচরণে ঘুম খাবার দাবারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দেয়
২. বন্ধুবান্ধব সামাজিক কাজকর্ম সব কিছু থেকে সে গুটিয়ে নেয়া শুরু করে
৩. অতীতে কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে সে আত্মহত্যার কথা বললে বা চেষ্টা করে
৪. পড়াশোনা অফিস আদালত এসব নিত্যদিনের ক্রিয়াকলাপ থেকে গুটিয়ে নেয়
৫. কোন কিছুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যেমন উইল করা, রিজাইন দেয়া, ইত্যাদি করে
৬. অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বিপজ্জনক ঝুঁকি নেয়, যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ড্রাইভিং, অবাধে যৌন সম্পর্ক করা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন কারা বা মাদক সেবন করা
৭. চরম কাঙ্ক্ষিত বিষয়, ব্যক্তিগত ভালোলাগার বা ভালোবাসার কোন বিষয়, বা জীবনের কাঙ্ক্ষিত কোন গোল এর প্রতি হঠাৎ করেই অনাগ্রহ দেখায়
৮. সারাক্ষণ মৃত্যুর কথা বলা, চিন্তা করা, অন্যকে প্রলুব্ধ করা, অ্যালকোহল গাঁজা ইয়াবা ইত্যাদির ব্যবহার মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দেয়া
৯. বিষণ্ণ, মনমরা হয়ে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেয়া ইত্যাদি।
আত্মহত্যার প্ররোচক:
আত্মহত্যাকারীর মধ্যে এসব সহসাই দেখা দেয় যে তা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এর কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করে। যেমন তারা সম্প্রতি কোন ক্রাইসিসে পড়েছেন, নিকট কারো মৃত্যু হয়েছে, স্বজনহারা হয়েছেন। এছাড়া প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হওয়া, ডিভোর্স হওয়া, চাকুরীচ্যুত হওয়া, দুরারোগ্য বা জটিল কোন রোগে আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া, অপমান অপদস্থ হওয়া, শারীরিক লাঞ্ছনা বঞ্চনার শিকার হওয়া, ধর্ষিত হওয়া, প্রতারিত হওয়া, মারাত্মকভাবে যেকোন ব্যাপারে প্রচণ্ড ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদি প্রায়সময় থাকেই। আর এসব কারণে নিজেই নিজের প্রতি ক্রমশ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। বেঁচে থাকার পক্ষে তখন কোন যুক্তিই তার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়না।
অনেক সময় কিছু কিছু আত্মহত্যাকারীদের অতীত ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় তার মধ্যে নানান এন্টিসোশ্যাল পারসোনালিটি বৈশিষ্ট্য থাকে যেমন চুরি করা, মিথ্যা বলা, ঠকানো, ঋণখেলাপী হওয়া বা কাউকে হত্যা করা। আত্মহত্যাকারীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও অতীতে আত্মহত্যার ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়।
আত্মহত্যা থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায়?
একমাত্র সচেতনতাই পারে প্রিয়জনের আত্মহত্যা রোধ করতে। তার প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে। তাকে সাইকিয়াট্রিক কাউন্সেলিং এর জন্যে সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হই। "মুখপোড়া, বংশের কলঙ্ক, তোর এমন কাণ্ড কীর্তি আর পরিণাম দেখার আগে কেনো আমাদের মরণ হলোনা" এ রকম কোন কথা বলে একান্ত প্রিয় মানুষটির আত্মহত্যার পরিকল্পনাকে আরও ত্বরান্বিত না করে বরং তার দিকে ভালোবাসা আর সহমর্মিতার হাত বাড়াই।
এখানে একটি প্রশ্ন সবার মনে উঁকিঝুঁকি দিতে পারে, জীবনে বিরূপ পরিস্থিতির শিকার অনেকেই হয় সবাই তো আর আত্মহত্যার ঝুঁকি নেয় না। হ্যাঁ তা ঠিক। কিন্তু আপনাকে এটা মনে রাখতে সবার সব কিছু সহজভাবে মেনে নেবার মানসিক দক্ষতা ও ক্ষমতা এক নয়।
শুরুতেই বলেছিলাম সুইসাইড খ্যাত অখ্যাত, বৈজ্ঞানিক দার্শনিক, খেলোয়াড়, রেসলার, চিত্রকর, পরিচালক, নায়ক গায়ক সব মানুষের মধ্যেই আছে। সুইসাইডকারীদের মধ্যে ক্লিওপেট্রা, নিরো, এডলফ হিটলার, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, ক্রিস বেনওয়েট, ভিনসেন্ট ভ্যন গফ এবং ষাট দশকের গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেয়া সুন্দরী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর নাম উল্লেখযোগ্য। এদের কেউ কেউ ছিলেন মানসিক রোগী ডিপ্রেশন বা পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারের রোগী।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য