আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

নারী-পুরুষের লড়াই: বিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে

ফরিদ আহমেদ  

বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রায়শই খবর আসে অন্তঃসত্ত্বা কিংবা সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া প্রেমিকাকে রেখে পালিয়ে গিয়েছে প্রেমিক প্রবর। কখনো বা বিবাহিত পুরুষও স্ত্রী-সন্তানদের রেখে চলে যায় অন্য কোনো নারীর হাত ধরে। সন্তান ফেলে পালানোর ক্ষেত্রে পুরুষের যে প্রবণতা, সেটা বিস্ময়করভাবে নারীদের মধ্যে প্রায় অনুপস্থিতই বলা চলে। একেবারে যে নেই, তা নয়। তবে, পুরুষের সঙ্গে তুলনা করলে এটাকে অগ্রাহ্যই করা যেতে পারে। এ কারণে অনেক সময় বলা হয়, দুনিয়ার আর যেই পরিত্যাগ করুক না কেনো, একজন মা কখনোই সন্তানকে পরিত্যাগ করতে পারে না। কথাটা বেশ খানিকটা সত্য। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে সন্তানের বাবা কীভাবে এই কাজটা করতে পারে? সন্তানের জিনের অর্ধেকতো তারও। সে কেনো তাহলে ছেড়ে যায় সন্তানকে নির্দ্বিধায়? শুধুই কি নিজস্ব কামনা এবং বাসনায়? মায়েরও তো কামনা, বাসনা রয়েছে। মা কেনো এই একই কাজটা করতে পারে না?

সব প্রাণিরই যৌনতা এসেছে বিবর্তনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে। মানুষই একমাত্র ব্যতিক্রম। এর যৌনতা অনেকখানি নিয়ন্ত্রিত হয় সংস্কৃতি দিয়ে। কিন্তু, যতই সংস্কৃতি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হোক না কেনো, বিবর্তনের দীর্ঘ পথকে অস্বীকার করার উপায় মানুষের নেই। পুরুষ কেনো সন্তান-সন্ততিদের ফেলে পালায়, নারী কেনো এই কাজটা করে না, সেটাকে আমরা আজ দেখবো বিবর্তনের চোখ দিয়ে, আমাদের কৃত্রিম নৈতিকতার মাপকাঠি দিয়ে নয়। এই আলোচনাটা হবে মূলত দুটো বইকে ভিত্তি করে। সঠিক করে বললে, এই দুটো বইয়ের দুটো অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে। এই বই দুটোর একটা হচ্ছে রিচার্ড ডকিন্সের ‘দ্য সেলফিশ জিন’, আর অন্যটা হচ্ছে জ্যারেড ডায়মন্ডের ‘হোয়াই ইজ সেক্স ফান?’ এই দুটো বইতেই বিস্ময়করভাবে একই শিরোনামে দুটো অধ্যায় রয়েছে। অধ্যায় দুটোর নাম হচ্ছে ‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সেস’।

প্রজাতির একটা নারী এবং একটা পুরুষ নিজেদের জিনকে ভবিষ্যতে ছড়িয়ে দিতে মিলিত হয় শারীরিকভাবে। সেই মিলনে সন্তান জন্মায়, যায় পঞ্চাশ ভাগ জিন আসে পুরুষের কাছ থেকে, আর বাকি পঞ্চাশ ভাগ নারীর কাছ থেকে। এ’রকম পরিস্থিতিতে নারী এবং পুরুষ দুজনেরই সাধারণ স্বার্থ থাকে ওই সন্তানের উপর। ফলে, দুজন দুজনকে সহযোগিতা করলে সেই সন্তানকে লালন-পালন করার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণির ক্ষেত্রে দেখা যায়, এদের পুরুষরা কোনো দায়-দায়িত্ব নেয় না সন্তান লালন এবং পালনের। মিলনের পরেই তারা ছুটে যায় অন্য কোনো নারীর দিকে, তার গর্ভে অন্য সন্তান জন্ম দেবার আশায়। ফলশ্রুতিতে, সন্তানের সব দায়িত্ব ঘাড়ে চেপে যায় মায়ের উপর এককভাবে। শুধু স্তন্যপায়ী প্রাণি নয়, দুই একটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে প্রাণি জগতের প্রায় পুরোটাই পুরুষতান্ত্রিক। সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা কম। গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ায় তারা। অন্যদিকে, নারীর পক্ষে এই বিলাসী আচরণ করা সম্ভব হয় না। সন্তানের জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে তার লালন-পালন সবকিছুতেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হয় তাকে।

আগেই বলেছি, সন্তানের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সাধারণ স্বার্থ থাকে। কারণ, এখানে বাবার পঞ্চাশ ভাগ জিন রয়েছে, মায়েরও পঞ্চাশ ভাগ। ফলে, সন্তান টিকে থাক, বেঁচেবর্তে বড় হোক, এটা বাবা-মা দুজনই চাইবে। কিন্তু, এই চাওয়ার ক্ষেত্রে মূল হিসাবটা হবে অন্য রকমের। একজন যদি আরেকজনের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে সরে পড়তে পারে, তবে তার পক্ষে ভিন্ন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ব্যবহার করে আরও বেশি সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব। এতে করে তার জিনকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটা হয় সহজতর। এরকম পরিস্থিতিতে তাদের দুজনেরই প্রাথমিক চিন্তা হবে কীভাবে আরেকজনের ঘাড়ে সব দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে চম্পট দেওয়া যায়।

কে চম্পট দেবে, আর কে দায়িত্ব নেবে, এটা মূলত নির্ভর করে সন্তানের ক্ষেত্রে কার বিনিয়োগ কতো বেশি। যার বিনিয়োগ কম, তার পক্ষে সরে যাওয়া সম্ভব। বিনিয়োগ যার বেশি, সে নিশ্চিতভাবেই সরবে না। কারণ সে জানে সে পালিয়ে গেলেও আরেকজন ঠিকই তার পঞ্চাশ ভাগ জিনের দায়িত্ব নেবে। অনেক প্রজাতির ক্ষেত্রে পুরুষ সরে যায়, নারী দায়িত্ব নেয়, কোনো কোনো প্রজাতির ক্ষেত্রে নারী ভেগে যায়, পুরুষ বাচ্চা পালে, আবার কোনো প্রজাতির ক্ষেত্রে বাবা-মা যৌথভাবে দায়িত্ব বুঝে নেয় সন্তানের।

সন্তান জন্মের জন্য নারীর বিনিয়োগ হচ্ছে তার ডিম্ব, অন্যদিকে পুরুষের তা শুক্রাণু। যে কোনো প্রজাতির ক্ষেত্রেই ডিম্ব শুক্রাণুর চেয়ে আকারে অনেক বড় হয়। বাচ্চার পুষ্টির সব রসদ সেখানে জমা রাখার জন্যেই এর আকার বড় হয়ে থাকে। কিন্তু, ডিম্বতে বিনিয়োগ বেশি বলেই যে বাচ্চার দায়িত্ব পুরুষের ঘাড়ে নারী চাপিয়ে দিতে পারে না, ঘটনাটা সেরকম নয়। পুরুষের একক শুক্রাণু আকৃতিতে অনেক ছোট হলেও, ডিম্বকে নিষিক্ত করার জন্য তাকে বিলিয়ন বিলিয়ন শুক্রাণু তৈরি করতে হয়। ফলে, তার বিনিয়োগ যে খুব একটা কম সেটা বলা যায় না।

মূল পার্থক্য তৈরি হয় মূলত ডিম্ব কি শরীরের ভিতরে নিষিক্ত হচ্ছে, নাকি বাইরে। বেশিরভাগ মাছ প্রজাতির কথাই ধরুন। এদের ডিমের নিষিক্ত করণ হয় শরীরের বাইরে। নারী মাছ এবং পুরুষ মাছ একই সময়ে ডিম ছাড়ে এবং শুক্রাণুর নির্গমন ঘটায়। এই নিষিক্ত ডিমের ক্ষেত্রে নারী মাছটার আর কোনো দায়দায়িত্ব থাকে না। হয় এগুলো এমনিতেই ডিম ফুটে বাচ্চা হবে, কিংবা বাবা-মা যে কোনো একজনের যত্নে টিকে থাকবে। এ’রকম পরিস্থিতিতে মা মাছ খুব সহজেই বাচ্চার দায়-দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে।

কিন্তু, ডিম যখন শরীরের ভিতরে নিষিক্ত হয়, তখন মা ফেঁসে যায়। কারণ, তার শরীরের পুষ্টি দিয়ে তাকে ডিমের কুসুম তৈরি করতে হয়, ডিমের খোসা তৈরি করতে হয়। কিংবা বাচ্চাকেই পুষ্ট করতে হয় নিজের শরীরের অভ্যন্তরে। এরকম ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি। মানুষের ক্ষেত্রেই ধরুন, নয় মাস সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার পরে একজন নারীর বিনিয়োগ পুরুষের তুলনায় বিশাল আকার ধারণ করে। এর বিপরীতে পুরুষের বিনিয়োগ কী? বিছানায় কয়েক মিনিটের আলোড়ন, আন্দোলন এবং সামান্য কয়েক মিলিলিটারের বীর্যপাত।

ডিম্ব নিষিক্তকরণ বাইরে ঘটলে বাবা-মা দুজনেরই সুযোগ থাকে দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার, কিংবা একজনের ঘাড়ে দায়িত্ব ফেলে দিয়ে সরে পড়ার। কারণ, এরকম ক্ষেত্রে বাচ্চার খুব বেশি বাবা-মায়ের যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু, নিষিক্তকরণ যখন শরীরের অভ্যন্তরে ঘটে, গর্ভবতী নারী প্রাণিটিকে ডিম পাড়ার কিংবা সন্তান জন্ম দেবার আগ পর্যন্ত ভ্রূণকে পুষ্টি দিতে হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণি হলে ঝামেলা আরও বেশি। বাচ্চাকে দীর্ঘকাল দুধ খাওয়ানোর দায়িত্ব নিতে হয়। এই সময়ে তার পক্ষে অন্য কোনো পুরুষের সাথে মিলিত হয়ে নতুন বাচ্চা নেবার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না। ফলে, সন্তান লালন-পালন করতে গিয়ে আরও বেশি সন্তান জন্ম সে দিতে পারছে না এরকম কিছু ঘটে না।

কিন্তু, পুরুষের ক্ষেত্রে চিত্রটা ভিন্নরূপ। এক নারীতে বীর্যপাত করার অল্প সময়ের মধ্যেই সে প্রস্তুত হয়ে যায় আরেক নারীর জন্য। এক সন্তানের জন্য নিজেকে আটকে না রেখে তার পক্ষে আরও বেশি সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব এই সুযোগে। এর ফলে তার জিনের বিস্তার ঘটবে দ্রুতগতিতে। এটাই বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা। এ কারণেই দেখা যায় অসংখ্য পুরুষ তাদের নারী সঙ্গীটি গর্ভবতী হলেই ফেলে চলে যায় ভিন্ন সঙ্গিনীর কাছে। যে পুরুষ সন্তান লালন-পালনে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে ফেলছে, সে তার জিনের বিস্তারের অসীম সম্ভাবনাকেই আসলে হত্যা করছে। এটা শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য না। প্রায় সব প্রজাতির প্রাণির পুরুষেরই এই সুবিধাটা রয়েছে। ফলে, প্রাণিজগতে মূলত মায়েরাই বাচ্চার যত্ন নিচ্ছে, এটা দেখতে পাওয়াটা একটা সাধারণ ঘটনা।

শুধু এটা নয়। আরেকটা বিষয়ও রয়েছে। প্রাণিজগতে বেশির ভাগ পুরুষই নিশ্চিত না যে সন্তানের জন্ম হচ্ছে সেটার পিতৃত্ব আসলে তারই। সন্তান লালন-পালন কিংবা যত্ম নেবার মতো মূল্যবান বিনিয়োগ করার আগে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন এই সন্তান তার কিনা। তা না হলে তার পুরো প্রচেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। নিজের শ্রম, ঘাম আর সময় দিয়ে অন্যের জিনকে বিস্তারে সাহায্য করা হবে। বিবর্তনের দৌড়ে প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যাওয়া। নারী প্রাণিদের ক্ষেত্রে, যারা অভ্যন্তরীণ নিষিক্তকরণ করছে তাদের কাছে বাচ্চার মাতৃত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। কারণ, সন্তান তার শরীরের ভিতর থেকেই বের হয়ে আসছে। অন্যের বাচ্চার সাথে অদল-বদল হবার কোনো সুযোগ নেই সেখানে। ফলে, বাচ্চাকে যত্ন নিলে বিবর্তনীয় ঘোড়দৌড়ের বাজিতে নিশ্চিত লগ্নি তার এটা। কিন্তু, স্তন্যপায়ী প্রাণি এবং অন্য প্রাণি যাদের নিষিক্তকরণ শরীরের ভিতরে হয়, তাদের পুরুষদের কোনোভাবেই জানার সুযোগ নেই যে এই বাচ্চা আসলে তারই।

হ্যাঁ, পুরুষ জানে যে সে নারীটির সাথে মিলিত হয়েছে, তার বীজ সে ঢেলেছে নারীর শরীরের অভ্যন্তরে। এবং কিছুদিন পরে নারীটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু, সে কীভাবে নিশ্চিত হবে এটা তারই সন্তান? নারীটা যে অন্য কোনো পুরুষের সাথে মিলিত হয়নি, সেটাই বা কে জানবে? তার নাকি অন্য কোনো পুরুষের বীজে এই সন্তান জন্মেছে, এটা সে কীভাবে জানবে? পিতৃত্ব নিয়ে এই অনিশ্চয়তাই বেশির ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণির পুরুষদের সঙ্গম শেষেই বিদায় নিতে দেখা যায়। অনিশ্চিত পিতৃত্বের বাচ্চাকে মানুষ করার জন্য সময় ব্যয় করার চেয়ে অন্য নারীর কাছে গিয়ে নিজের জিনের বিস্তার সর্বোচ্চ করাটাই তার লক্ষ্য থাকে তখন। মনে বড় আশা, কারো না কারো গর্ভে নিশ্চয় তার সন্তান জন্মাবেই।

বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই রকম পরিস্থিতিতে পুরুষের সন্তান লালন পালনে সময় দেওয়াটা খারাপ পছন্দ বলা যেতে পারে। যে পুরুষ এমনটা করবে, সে বিবর্তনের ইঁদুরদৌড়ে পিছিয়ে যাবে, তার জিন হারিয়ে যাবে, একদিন কোনো চিহ্নই থাকবে না এই ধরাধামে।

মানুষের ক্ষেত্রে সন্তান জন্ম দেওয়া এবং সন্তান লালন পালন করাটা দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ এবং পরিশ্রমের কাজ বলে, একক প্যারেন্টের উপর দিয়ে ধকল যায় প্রচুর পরিমাণে। অনেক ক্ষেত্রে একক প্যারেন্টের পক্ষে বাচ্চাকে টিকিয়ে রাখাও সম্ভব হয় না। এই ধকল এড়াতে, বাচ্চাকে টিকিয়ে রাখতেই যৌথ ভূমিকা এসেছে। এসেছে সন্তানের পিতৃত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য একগামী সম্পর্ক। পুরুষকে তার জিনের বিস্তার ঘটানোর জন্য এক নারী থেকে অন্য নারীতে ছুটোছুটির অভ্যাস পরিবর্তন করতে নারী নিয়েছে ভিন্ন কৌশল। অন্য প্রজাতির নারীরা যেখানে যৌন মিলনের আগ্রহ প্রকাশ করে শুধুমাত্র ডিম্বস্ফূটনের সময়ে, মানুষের ক্ষেত্রে ডিম্বস্ফূটনের সময়কাল ছাড়া বাকি দিনগুলোতে নারীকে যৌনতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়েছে। এইটুকু সুবিধা না দিলে পুরুষকে একগামী সম্পর্কে টিকিয়ে রাখা অসম্ভবতর একটা কাজ।

এতো কিছু করেও কি লাভ হয়েছে কিছু? বিবর্তনের দীর্ঘ উত্তরাধিকার থেকে পুরুষ কি বের হয়ে আসতে পেরেছে? না, পারেনি। পারার কথাও না। যতোই কাপড়-চোপড় পরে সভ্য সাজি না কেনো আমরা, ভুলে গেলে চলবে না মিলিয়ন মিলিয়ন বছর জিনের দাসত্ব করে এসেছি। জিন তার নিজস্ব বিস্তারের অন্ধ লড়াইটা চালিয়েই যাবে। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। নিজস্ব স্বার্থের বাইরে এই স্বার্থপর জিনের আর কোনো স্বার্থ নেই, আর কোনো বিকল্প ভাবনা নেই।

ফরিদ আহমেদ, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ