প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
এনামুল হক এনাম | ০৯ এপ্রিল, ২০২০
পৃথিবীর সর্বাধিক কার্যকর এবং শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও কোভিড-১৯ ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯’কে বিশ্ব-মহামারি ঘোষণার সাথে সাথে পৃথিবীর সকল দেশের প্রতি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রতি জোর দেয়ার আহবান জানিয়েছে। কারণ এই বিশ্বের ক্রান্তি-লগ্নে শুধুমাত্র একটি ভ্যাক্সিনই মানুষকে দিতে পারে মুক্তি।
বিশ্বের প্রায় ৩৫টি সংস্থা এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এই ধরণের ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরির জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। এর মধ্যে কমপক্ষে চারটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন পশুপাখিতে পরীক্ষা করেছে সফল ভাবে। এর মধ্যে প্রথমটি- বোস্টন ভিত্তিক বায়োটেক ফার্ম ‘মডার্না’ (Moderna) সম্প্রতি মানব শরীরে তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন পরীক্ষা পরীক্ষা নিরীক্ষাও শুরু করছে।
এত দ্রুত কোন রোগের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা ইতিপূর্বে কখনোই করা যায়নি। এর জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য চীনের, এই অভূতপূর্ব গতি সম্ভব হয়েছে কোভিড-১৯ এর করোনা ভাইরাস ও সারস-কোভি-২ এর জেনেটিক গবেষণা চীন এ বছরের শুরুতেই করে রাখে (sequence the genetic material of Sars-CoV-2) এবং পৃথিবীর সকল গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে তা বিনামূল্যে প্রেরণ করে। যার ফলে গবেষকরা ইতোমধ্যে সহজেই জেনে গেছে করোনাভাইরাস কীভাবে মানব দেহের কোষকে দুর্বল এবং অসুস্থ করে ফেলে।
তবে চীনে সংক্রমণ শুরুর দিকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়নি যে এই ভাইরাস সংক্রামক ব্যাধি হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এভাবে বিশ্ব মহামারি হতে পারে। যদি উন্নত দেশগুলো আরও আগে সতর্কতা অবলম্বন করতো বং পর্যাপ্ত প্রতিরোধ গ্রহণ করতো তবে এই মহামারি এভাবে ছড়িয়ে পড়তো না।
বিশ্বের সকল ভ্যাক্সিনোলজিস্ট বা টিকাবিদগণ করোনার প্রোটো-টাইপ প্যাথজেন নিয়ে কাজ করছেন, (prototype pathogens) যাতে শুধু এই মহামারি নয়, করোনা দ্বারা সংঘটিতব্য আগামী যে কোন মহামারিও একই ভ্যাকসিনে তারা নির্মূল করতে পারেন। কারণ এই করোনা ভাইরাসের আক্রমণে সম্প্রতি চীনে ২০০২-০৪ সালে এবং (severe acute respiratory syndrome (Sars) in China, 2002-04) এবং মধ্যপ্রাচ্যে ২০১২ সালে (Middle East respiratory syndrome (Mers), Saudi Arabia, 2012) একাধিক সংক্রমণ হয়ে গেছে। ঐ সময়ে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা বর্তমান মহামারিতে দারুণ সহায়ক হয়েছে। মেরিল্যান্ড-ভিত্তিক নোভাভ্যাক্স নামে একটি সংস্থা এখন Sars-CoV-2 এর জন্য তৈরি ভ্যাক্সিনগুলি মানব শরীরে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত জানিয়েছে।
Sars-CoV-2 এর ৮০% থেকে ৯০% ভাগ জিনের একই বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সার্সের (Sars) মধ্যেও পাওয়া যায়। উভয়ই একটি গোলাকার প্রোটিন ক্যাপসুলের (spherical protein capsule) ভিতরে রাইবোনুক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ) (RNA) নিয়ে গঠিত স্পাইকদ্বারা আবৃত। স্পাইকগুলি মানুষের ফুসফুসের কোষের পৃষ্ঠে আটকে গিয়ে তা ‘লক’ করে দেয়, এবং উভয় সংক্রমণের ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটে। ভাইরাসটি কোষে প্রবেশ করে বহুরূপী আচরণ শুরু করে, ফুসফুসের কোষের মত নকল অভিনয়ে ভাইরাসগুলো দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বড় ধরনের ধোঁকা দেয় এবং পরবর্তীতে ভাইরাসগুলোর নতুন কপি ফুসফুসের কোষ ধ্বংসে লেগে যায়, তখনই শুরু হয় আক্রান্ত ব্যক্তির তীব্র শ্বাসকষ্ট।
সমস্ত ভ্যাকসিন একই সাধারণ নীতি অনুসারে কাজ করে। তারা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে শরীরে থাকে এবং কার্যক্ষমতা চালিয়ে যায় একটি সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অথবা আজীবন। সাধারণত অতি স্বল্প মাত্রায় ইনজেকশন দিয়ে তা শরীরে প্রবেশ করানো হয়। যা শরীরে প্রবেশ করে মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে নির্দিষ্ট রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে। সুস্থ মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন সুপ্ত অবস্থায় শরীরে কোন ক্ষতি না করেই আজীবন থাকে এবং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রোগজীবাণুর সংস্পর্শে আসলেই তা সক্রিয় হয়ে উঠে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহায়তা করে।
সাধারণত দুর্বল ভাইরাসগুলো আমাদের শরীরের ইম্যুন-সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বারা সহজেই নিয়ন্ত্রিত হয়, এছাড়াও শরীরের তাপমাত্রাও ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। যখন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের দুর্বল হয়ে পড়ে তখনই শুধুমাত্র ভাইরাসগুলি সংক্রমণের জন্য তাদের পরবর্তী বংশধরের জন্ম দিতে পারে। নতুন ভ্যাকসিনের গবেষণার ক্ষেত্রে Sars-CoV-2 বহিঃআবরণের প্রোটিন স্পাইকগুলোর জেনেটিক কোডিং পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে, যাতে নতুন তৈরি করা ভ্যাকসিন সহজেই আক্রমণকারী প্রোটিন স্পাইক সনাক্ত করে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। এমনকি আরও নতুন ক্ষেত্রে, প্রোটিন স্পাইককে বাইপাস করে ভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য যাচাই করেও ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। ‘মডার্না এবং বোস্টনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘কিউরভ্যাক’, দুটিই আরএনএ থেকে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করছে।
নোভাভ্যাক্স এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাথে মোট চারটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত অর্থায়নে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রকল্পের জন্য তহবিলের পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার মিলিয়ন ডলার। গবেষণা কার্যক্রমের সমন্বয়ক হ্যাচেট বলেছেন, "ভ্যাকসিনের বিকাশের ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা হল, এই গবেষণা কার্যক্রমে আপনি কোথায় হোঁচট খাচ্ছেন তা অনুমান করতে পারবেন না" এবং ভ্যাকসিন তৈরির পরেও হোঁচট খাওয়ার কঠিন ধাপটি হল ক্লিনিকাল বা মানব ট্রায়াল, যা যা বর্তমানে চলমান আছে।
ক্লিনিকাল ট্রায়াল করতে হলে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর মোট চারটি ধাপ পেরোতে হয়, এক, প্রথম জনা পঞ্চাশেক স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবককে খুঁজে বের করতে হয়, যাতে পরীক্ষা করে দেখা যায় সুরক্ষার জন্য ভ্যাক্সিনটি কতটুকু কার্যকর, এর কী কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব আছে, তা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দ্বিতীয়টি, প্রায়শই কয়েকশ ব্যক্তিকে খুঁজ বের করা হয়, যারা ইতোমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের উপর এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা তৃতীয় ধাপে, কয়েক হাজার লোকের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে বড় জনগোষ্ঠীতে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা, প্রতিক্রিয়া, প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হয়। এবং সর্বশেষ ধাপে গিয়েই বিশ্বে ব্যবহারের জন্য সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তাই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরেও হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়, বরং অনেক বেশি। ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেক প্রতিষ্ঠানই কাজ করছে, অনেকেই কাজ করছেন, অনেকেই কাজ এগিয়ে রাখছেন, এগিয়ে আছেন মানে এই নয় যে তারাই শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিন আবিষ্কার করবেন। সাবিন ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট, ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ব টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করে, সেই প্রতিষ্ঠানের ব্রুস জেলিন ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে চমৎকার একটি কথা বলেছিলেন, ঘোড়ার রেসে গেট খুলে দেয়ার সাথে সাথে যে ঘোড়াগুলো সবার আগে থাকে, এমন নয় যে সেই ঘোড়াগুলোই জয়ী হবে” (Not all horses that leave the starting gate will finish the race)
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সবচেয়ে বিপদজনক দিক হলো, সামান্য ভুলে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটতে পারে, এমনও হতে পারে, ভুল যে হবে তা গবেষক আদৌ টেরই পাবেন না। মনে রাখা প্রয়োজন, এমনই হাজারো ভুলের উপর ভিত্তি নিয়েই সমৃদ্ধ হয়েছে আজকের মেডিকেল সায়েন্স।
১৯৬০ সালে এমনই একটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছিল শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসের (respiratory syncytial virus) বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য। পরবর্তীতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেল ভ্যাকসিন দেয়ার পর সামান্য জ্বর সর্দির সেই রোগ রূপ বদলে আরও ভয়ংকর হয়ে গেছে। সার্স ভ্যাকসিন তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে একই ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে গবেষকদের। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার কারণে গবেষণাধীন Sars-CoV-2 ভ্যাক্সিনকে অধিকতর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তাই আপনাদের স্মরণ করিয়ে দেই, অমুক দেশের প্রেসিডেন্ট আর তমুক দেশের প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন সম্পর্কে যতই আশার বাণী শুনান না কেন, বাস্তবতা অনেক কঠিন। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের, নব্য সংক্রামক ব্যাধি বিজ্ঞানী (emerging infectious diseases) অধ্যাপক আনিলিস উইল্ডার স্মিথ এ সম্পর্কে সবচেয়ে সত্য কথা বলেছেন, অন্যান্য টিকা বিশারদদের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলি, ১৮ মাসের আগে কোন ভ্যাকসিন আপনারা পাচ্ছেন না” (Like most vaccinologists, I don’t think this vaccine will be ready before 18 months)
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর আরও একটি বড় সমস্যা হল, বৃহৎ আকারে তা উৎপাদন। যে গবেষণা কেন্দ্রগুলো করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে, এবং আবিষ্কারের তৎপরতায় আছে, তাদের উৎপাদনমুখি কোন ক্ষমতা নেই। তারমানে তারা ভ্যাকসিন আবিষ্কার তো করতে পারবে, সেই ভ্যাকসিনের হাজার বা লাখ খানেক স্যাম্পলও আমাদের দিয়ে দিতে পারবে, কিন্তু সাড়ে সাতশো কোটি মানুষের পৃথিবীতে প্রয়োজন পড়বে কোটি কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের। ব্যাপারটি বলা যত সহজ, উৎপাদনমুখি বাস্তবায়ন আরও বেশি কঠিন। এরপরের ধাপ হলো, সঠিক তাপমাত্রায় সেই উৎপাদিত ভ্যাকসিন দেশে দেশে পৌঁছে দেয়া। খুবই স্বাভাবিক সেই নতুন ভ্যাকসিন শিল্পোন্নত ধনী শক্তিধর দেশগুলোই আগে পাবে। ধরেই নিতে পারেন, আজও যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় তা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের মানুষের কাছে পৌছুতে কয়েক মাস থেকে বছরও লেগে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে আমাদের মত দেশের ভরসা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ আমাদের মত দেশের সরকারের পক্ষে বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন ক্রয় কিংবা উৎপাদন কোনটাই সম্ভব নয়। মহামারিতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন বণ্টনের জন্য বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আইন রয়েছে। তারা বিশ্বব্যাপী একটি ন্যায়সঙ্গত বণ্টন কৌশল (equitable global distribution strategy) নির্ধারণ করে রেখেছে সকল দেশের সরকার, দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে। তারা আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করছে অনুন্নত, গরীব দেশগুলোতে ঔষধ, ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণের জন্য। উন্নয়নশীল দেশের জন্য আমরা যতই মডেল হই না কেন, আমাদের ভরসা ঐ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু বিশ্ব মহামারির পরিস্থিতি ভিন্ন, প্যানডেমিক সিচ্যুয়েশনে কোন দেশই নিজের দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা তৃতীয় বিশ্বে কোন দেশকে অগ্রাধিকার দেবে না। আগে নিজের প্রয়োজন মেটাবে, তারপর উদ্ধৃত অংশ দিয়েই সাহায্য করবে, সেটা অর্থ দিয়ে হোক আর ভ্যাকসিন দিয়ে হোক।
খোলামেলা যদি বলি, আমাদের মত দেশ ভ্যাকসিনের জন্য আশায় বসে থেকে লাভ নেই। নিজের সীমিত সম্পদ দিয়ে লকডাউন, কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে রোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে না পড়ে আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেঙে না দেয়। মহামারি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে গেলে, কে সরকার, কে প্রশাসন, কে নেতা, কে মন্ত্রী কিছু জায়গা মত থাকবে না। মনে রাখা প্রয়োজন, প্রত্যেকটি মহামারিকে অনুসরণ করে খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ।
হ্যাঁ, ভ্যাকসিন আসবে, অবশ্যই আসবে। আমাদের সেই আসা পর্যন্ত একটি অশিক্ষিত, অজ্ঞ, ধর্মান্ধ জাতি নিয়ে যে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে তা চিন্তা করতে গেলেও গায়ে কাটা দিচ্ছে। সময় খুবই অল্প, বিপদ কড়া নাড়ছে আমাদেরই দুয়ারে-দুয়ারে। যেকোনো উপায়ে হোক সবাইকে নিয়ে এই বিশ্ব মহামারির প্রতিরোধ করতে হবে।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য