Advertise
বন্যা আহমেদ | ২২ মে, ২০২০
আরেক সুপার সাইক্লোন, আম্পান, তার তাণ্ডবলীলায় তুষ্ট হয়ে সগর্বে বিদায় নিল। আমাদের চির অবহেলিত সুন্দরবন আবারো বুক পেতে না দিলে হয়তো এই ধ্বংসযজ্ঞ আরও ভয়ংকরী রূপ নিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় তো অনেক জায়গাতেই হয়, কিন্তু বঙ্গোপসাগরে কেন বারবার সেটা এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে? বারবার এই চরম ধ্বংসের সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া কি আর কিছুই করার নেই আমাদের?
'ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ড' ওয়েবসাইটের এর হিসেব ঠিক হলে, আম্পানের পরে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩৬টি ভয়ঙ্করতম মৌসুমি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ২৬টিই ঘটেছে বঙ্গোপসাগরে।
বিজ্ঞাপন
কেন?
উপরে নাসার এই ছবিটা দেখুন। পৃথিবীর বিষুবরেখার উপরে এবং নিচে কমলা রঙের অঞ্চলগুলোয় প্রতিবছর মৌসুমি ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা যায়।
ঘূর্ণিঝড় একটা দানবীয় ইঞ্জিনের মত যার জ্বালানি হিসেবে কাজ করে উত্তপ্ত, আর্দ্র বাতাস। আর এর জন্য বিষুবরেখার আশেপাশের সমুদ্রের চেয়ে আর অনুকূল জায়গা আর কী থাকতে পারে? সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে যখন এই গরম, আর্দ্র বাতাস উপরের দিকে উঠতে শুরু করে চোঙার মত তখন তার নিচের খালি জায়গায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে এর আশেপাশের উচ্চচাপের বাতাস প্রবল বেগে ছুটে এসে এই খালি জায়গাটা পূরণ করে। তারপর এই নতুন বাতাসও উত্তপ্ত এবং আর্দ্র হয়ে উপরে উঠতে শুরু করে আর তার চারপাশের পানিগুলো তখন আরও প্রবলবেগে ঘুরতে ঘুরতে এগিয়ে আসতে থাকে। ফুঁসে উঠতে থাকে সমুদ্র মহাপ্রলয়ঙ্করী রূপে।