আজ মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Advertise

২০২৫ সাল নাগাদ ক্যান্সার আশঙ্কায় ২০ কোটি লোক

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস’ বা ‘বিশ্ব ক্যান্সার সচেতনতা দিবস’ পালন করা হয়। World Cancer Day একটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিপালিত দিবস। এই দিনটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ক্যান্সার রোগীদের জীবন ধারার মান উন্নয়নে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেনষ্ট ক্যান্সার (International Union Against Cancer)-কে সহায়তা করে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়।

ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং এই রোগ প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করাই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে ১২ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO)এ খবর জানায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি বাংলাদেশে বর্তমান ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় দু’লাখ লোক ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় দেড় লাখ লোক মারা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। হু’র দেয়া তথ্যমতে বিশ্বে প্রতি বছর ৮২ লাখ লোক ক্যান্সার রোগে মারা যায়। প্রায় সাড়ে ১০ কোটি নারী বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বসবাস।

হু’র দেয়া তথ্যমতে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা এবং তাদের মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ডায়রিয়া রোগ গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মাতৃজনিত মৃত্যুর ২১ ভাগই ক্যান্সার রোগ আক্রান্ত।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী ২০১১ সালে ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সবধরনের হৃদরোগ জনিত মৃত্যুর সংখ্যার চেয়েও বেশি। যে ভাবে এ সংখ্যা বেড়ে চলছে তাতে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিবছর সারাবিশ্বে আনুমানিক ২০ কোটি মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হবে। যার সিংহভাগই থাকবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে,যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

২০১২ সালের সারাবিশ্বে ১৪.১ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৮.২ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সার জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে। ফুসফুসে ক্যান্সার এখনো শীর্ষস্থানেই রয়েছে (নতুন রোগী ১.৮ মিলিয়ন, যা মোট নতুন রোগীর ১২.৯%, এর বিপরীতে ১.৬ মিলিয়ন মৃত্যু, যা মোট ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর ১৯.৪%)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্তন ক্যান্সার (১.৭ মিলিয়ন নতুন রোগী যা মোট রোগীর ১১.৯%, মোট মৃত্যু ৫২২,০০০ যা মোট মৃত্যুর ৬.৪%)। এর পর কলোরেক্টাল ক্যান্সার (১.৪ মিলিয়ন নতুন রোগী, ৬৯৪,০০০ মৃত্যু), প্রষ্ঠেট ক্যান্সার (১.১ মিলিয়ন নতুন রোগী, ৩০৭,০০০ মৃত্যু), পাকস্থলী ক্যান্সার (৯৫১,০০০ নতুন রোগী, ৭২৩,০০০ মৃত্যু), লিভার ক্যান্সার (৭৮২,০০০ নতুন রোগী ৭৪৫,০০০ মৃত্যু), এই ৬টি ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মোট ক্যান্সারের ৫৫ শতাংশ।

উন্নত দেশগুলোতে স্তন, প্রষ্ঠেট, ফুসফুস ও কলোরেক্টাল ক্যান্সার হচ্ছে মোট ক্যান্সারের ৫০ শতাংশ, এর বিপরীতে মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ফুসফুস, স্তন, পাকস্থলী, কলোরেক্টাল, লিভার ও জরায়ু মুখ ক্যান্সার হলো মোট ক্যান্সারের ৫৪ শতাংশ। সারা বিশ্বের হিসাব অনুযায়ী পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার এখনও শীর্ষস্থানে।

১৯৮০ সালে সারা বিশ্বে ফুসফুসে ক্যান্সারের নতুন রোগী ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার। ২০১২ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১.৮ মিলিয়ন (মোট নতুন রোগীর ১২.৯%)।

স্বল্প মধ্য আয়ের দেশগুলোতে পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার (৭ লাখ ৫১ হাজার রোগী,যার মধ্যে ৬ লাখ ৮২ হাজার মৃত্যু) লিভার ক্যান্সার (৪লাখ ৬২ হাজার রোগী, যার মধ্যে ৪ লাখ ৪১ হাজার মৃত্যু)। পাকস্থলী ক্যান্সার (৪ লাখ ৫৬ হাজার রোগী,যার মধ্যে ৩ লাখ ৬২ হাজার মৃত্যু)। এই ৩টি ক্যান্সার মোট নতুন রোগীর প্রায় ৪০% এবং এর বিপরীতে ক্যান্সার জনিত ৪৮% মৃত্যুর কারণ।

মেয়েদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে স্তন ক্যান্সার। আশংকাজনক ভাবে স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে নতুন রোগীর সংখ্যা (৮ লাখ ৮৩,হাজার), উন্নত দেশগুলোর চেয়েও বেশী (৭ লাখ ৯৪ হাজার)। জরায়ু মুখ ক্যান্সার স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে দ্বিতীয় স্থান রয়েছে (৪ লাখ ৪৫ হাজার, পক্ষান্তরে উন্নত বিশ্বে এর স্থান একাদশ (৮৩ হাজার)। উন্নত বিশ্বে মেয়েদের ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুস ক্যান্সার (২ লাখ ১০ হাজার),এরপর স্তন ক্যান্সার (১ লাখ ৯৪ হাজার)। স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে স্তন ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর হার শীর্ষস্থানে (৩ লাখ ২৪ হাজার মৃত্যু) এরপর ফুসফুস (২ লাখ ৮১ হাজার মৃত্যু) এবং জরায়ু ক্যান্সার (২ লাখ ৪৩ হাজার মৃত্যু)।

মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে, যার অর্ধেকেরই মৃত্যু হয় অপরিণত বয়সে। বাংলাদেশেও এই রোগের চিত্র আশঙ্কাজনক। দেশে এখনও ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার সুব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টের অভাব রয়েছে। আর এ কারণেই দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রোগী মৃত্যুবরণ করে, যার সিংহভাগই ক্যান্সারজনিত কারণে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা অপ্রতুল।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১৫টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিবছর ৫০ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা সম্ভব। বাকি ২ লাখ রোগীর অধিকাংশই অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের মধ্যে পড়ে অপচিকিৎসা বা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত।

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এসব রোগীদের মধ্যে ফুসফুস, মুখগহ্বর, রক্তনালি, জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। মহিলা রোগীদের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত। সারাদেশে এই রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদের সংখ্যা মাত্র ৮৫ জন। একই সঙ্গে ৩ হাজার রোগীর জন্য একটি মাত্র শয্যা বিদ্যমান।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক এবং ইউএনআইসিআরএইচ প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. মোশাররফ হোসেন জানান, দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ রয়েছেন ১১০ জন। বিশেষজ্ঞ নার্সের পাশাপাশি এ রোগ থেকে উত্তরণে এবং চিকিৎসকদের সহায়তায় ফিজিসিস্ট দরকার। তিনি বলেন,বাংলাদেশে সরকারিভাবে কোনো ফিজিসিস্ট নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছু পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে কিছু পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এখনো ওই পদে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব হলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তারাও কিছুটা সহযোগিতা করতে পারবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ১ লাখ ৫০ হাজার রোগী মৃত্যুবরণ করে। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার শতকরা ৭ দশমিক ৫ ভাগ। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ এই হার ১৩ শতাংশে ছাড়িয়ে যাবে। ডব্লিউএইচও’র তথ্যমতে, প্রতি ১০ লাখ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজন একটি রেডিওথেরাপি চিকিৎসা কেন্দ্র। সে অনুযায়ী ১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজন রেডিওথেরাপি মেশিন ও প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল সম্বলিত ১৬০টি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র। অথচ মহাখালীর ক্যান্সার ইন্সটিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলসহ মাত্র কয়েকটি বিভাগীয় শহর ছাড়া রেডিওথেরাপি চিকিৎসার মেশিন-ই নেই!

বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীদের ৬৬ শতাংশের বয়স ৩০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করে দ্রুত নিরাময় সম্ভব না হলে এ রোগের কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা ও সেবা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেয়া হয় ওই কর্মপরিকল্পনায়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কয়েকটি বিষয়ে নীতিনির্ধারণ ছাড়া সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয় মারণব্যাধি ক্যান্সার। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বে ক্যান্সার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী মরণব্যাধি এই রোগে আক্রান্ত। যাদের অধিকাংশই চিকিৎসার বাইরে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসার আধুনিকায়ন ও মানসম্পন্ন দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরি, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রতিরোধে গুরুত্বারোপ না করলে এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী বলেন, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে প্রায় ২ লাখ লোকের মৃত্যু হয়। এই রোগীদের মধ্যে ফুসফুস, মুখগহ্বর, রক্তনালি, জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। প্রাথমিকভাবে এ ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে প্রায় ৫০ ভাগ রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের সর্বনাশা গতির বিপরীতে আমাদের প্রস্তুতি বেশ দুর্বল বলা চলে। বিগত ২ দশকে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে অনুকরণীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী। কিন্তু ক্যান্সার রোগের ধেয়ে আসা ঝড়কে মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি এখনও প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই। বাংলাদেশ পৃথিবীর ৯ম জনবহুল দেশ। আনুমানিক ১৬ মিলিয়ন মানুষের দেশে ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ ক্যান্সার রোগী রয়েছে। প্রতিবছর ২ থেকে ২.৫ লক্ষ নতুন রোগী এই তালিকায় যোগ হচ্ছে।

ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, ১৯৫৩ সালে প্রথম টেলি থেরাপি (কোবাল্টণ্ড-৬০) মেশিন বসেছিল টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে। ২য় মেশিনটি বসে ১৯৫৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ডিপএক্সরে মেশিন চালু হয়। জাতীয় ক্যান্সার ইনিষ্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে। ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম লিনিয়ার এক্সিলেটার স্থাপিত হয় ক্যান্সার ইনিষ্টিটিউটে। বর্তমানে দেশে আনুমানিক ২০টি লিনিয়ার এক্সিলেটার, ১২টি কোবাল্ট-৬০ ইউনিট এবং ১২টি ব্রাকিথেরাপি ইউনিট রয়েছে। বীকন ও টেকনো ফার্মাসিউটিক্যালস এদেশে ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করছে এবং প্রায় ৫৬ ধরণের ওষুধ বাজারে এনেছে। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে অনেক মূল্যবান ঔষধ এখন এদেশে পাওয়া যায়। অন্যান্য ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোও ক্রমশ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে এগিয়ে আসছে।

ক্যান্সার একটি মারাত্মক ও ভীতিকর রোগ। শরীরের যেকোনো অঙ্গেই এ রোগ হতে পারে। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্যান্সার। ক্যান্সার শুধুমাত্র ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে না। পরিবার,সমাজ, সর্বোপরি রাষ্ট্র নানাভাবে এর শিকার হয়। ক্রমবর্ধমান ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে আমাদেরকে ব্যক্তিগত ও সমন্বিত দু’ভাবেই ভূমিকা রাখতে হবে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ক্যান্সার বিরোধী যুদ্ধে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। সেই সম্ভাবনাকে আমাদের গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। ক্যান্সারের ভয়ংকর বিস্তারে আমাদের সচেতন হতে হবে। সংকল্প, ভালোবাসা, সামর্থ্য ও সাহস দিয়ে ক্যান্সারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সময়ের অন্যতম প্রধান দাবী।।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৪ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৯ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪২ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৩ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২১ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন