আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

উজ্জ্বল সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পর্যটনের সবচেয়ে উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বহুবিচিত্র মানুষের সমাহারই দেশীয় পর্যটনের সবচেয়ে বড় পণ্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় এই খাতটি নানান কারণে বাধাগ্রস্ত। সম্প্রতি পর্যটন বিকাশে ৯টি বাধাকে চিহ্নিত করে এক প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। এগুলো হচ্ছে: ১. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাইরে পর্যটন উপযোগী উল্লেখযোগ্য ও উপযোগী উপাদানের অভাব। ২.পর্যটনখাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতা, সড়ক, নদীপথ, রেল ও বিমান যোগাযোগের নিরাপদ ও উপযুক্ত মানের পর্যটন উপযোগী পরিকল্পিত ও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার অনুপযোগিতা ও অপর্যাপ্ততা। ৩.পর্যটন দৃষ্টিকোণে সঠিক বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণে উপযুক্ত প্রচারণার অভাব। ৪. পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধকরণে দেশের গণমাধ্যমের আন্তরিক সংশ্লিষ্টতা ও যথাযথ উদ্যোগের অভাব। ৫. আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা। ৬. পর্যটন শিল্প খাতটির সঠিক উপলব্ধি, মানসিকতা ও ধারণার অভাব। ৭. পর্যটনখাতে নিযুক্ত জনবলের মানসিকতা, পর্যাপ্ত জ্ঞান ও পেশাদারিত্বের অভাব। ৮. পর্যটন বিষয়ক সঠিক, উপযুক্ত শিক্ষিত ও মননের মানুষের অপর্যাপ্ততা, প্রান্তিক পর্যায়ে ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, ব্যক্তি পর্যায়ে প্রদত্ত সেবা, পণ্যের বিপরীতে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যমান আদায়ের প্রবণতা, হয়রানিমূলক আচরণ সেই সঙ্গে সার্বিক নিরাপত্তাহীনতা। ৯. আন্তর্জাতিক ভাষাজ্ঞানসহ এ খাতের উপযোগী অন্যান্য ভাষাজ্ঞান সমৃদ্ধ জনবলের অপর্যাপ্ততা।

পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে একশ কোটিরও বেশি পর্যটক পর্যটনখাতকে ধরে রেখেছে। ২০২৫ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৬০ কোটিতে। আর বিপুলসংখ্যক এই পর্যটকের মধ্যে ৭৩ শতাংশই ভ্রমণের জন্য বেছে নেবেন এশিয়ার দেশগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব পর্যটনখাতের বৃহৎ এই বাজার ধরতে পারলে এর ওপর ভর করেই আমূল বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি। জিডিপিতে রাখতে পারে বড় অবদান। তবে পর্যটনখাতের অপার এই সম্ভাবনায় সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিরাপত্তাহীনতা। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্পটগুলোতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর সব ঘটনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নটি আলোচনায় চলে এসেছে। বিশেষ করে, পর্যটনখাতের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র কক্সবাজারের বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের রয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। অথচ অবহেলা, উদাসীনতা ও সঠিক পদক্ষেপের অভাবে দিন দিন গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সেই সৈকতটি।

বিভিন্ন পরিসংখ্যানে থেকে দেখা গেছে, কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা আগের চেয়ে আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। বিদেশি পর্যটকরা আগের মতো স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে আর আসছেন না। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কিছুদিন আগে সপরিবারে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে এক নারী পর্যটকের দলবদ্ধ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি সারাদেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। এমন অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে সাধারণ পর্যটকরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। অনেকেই নিরাপত্তার শঙ্কায় ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে সৈকত ত্যাগ করছেন। অথচ চলতি মাসেই এই সৈকতেই অন্তত চার থেকে ছয় লাখ পর্যটকের ভিড় জমেছিল। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে থাকার জায়গা না পেয়ে অনেকে বাসে কিংবা রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করেও সময় পার করেছেন। আর একটি ঘটনাতেই নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় আনন্দ পরিণত হয়েছে বিষাদে।

এরআগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও এমন আরেকটি ঘটনার মধ্য দিয়েও নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি উঠে এসেছিল। সে সময় কক্সবাজারে বেড়াতে এসে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন এক অস্ট্রেলিয়ান তরুণী। তিনি যে রিসোর্টে উঠেছিলেন সেখানকারই দুই ব্যক্তি জোর করে তার কক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছিল। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই তরুণীর চিৎকারে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি তখন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে বড় প্রভাব না পড়লেও এবারের ঘটনাকে সম্ভাবনাময় পর্যটনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে।

আমাদের পাশের দেশ ভারতেও ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। বেসরকারি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে ভারতে আসা আয়ারল্যান্ডের এক নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার প্রভাবে ভারতে আশঙ্কাজনক হারে কমে যায় বিদেশি নারী পর্যটকদের সংখ্যা। ভারতীয় বণিক গোষ্ঠী অ্যাসোচ্যামের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখানো হয়, বিদেশি নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনার পরের বছরে দেশটিতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা হ্রাস পায় প্রায় ২৫ শতাংশ। একই রকম ঘটনা ঘটেছিল মেক্সিকোতে। সেখানেও এমন ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় পর্যটকের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দেশের পর্যটক আকর্ষণকারী স্থানগুলোতে নিরাপত্তার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। দিনদুপুরে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে অহরহ। ফলে পর্যটকেরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন। পর্যটন শহরগুলোতে দেখা যায় হকারদের উৎপাতে পর্যটকরা একান্তে সময় কাটাতে পারে না। ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা হাতে কিছু ফটোগ্রাফার যেমন বিরক্ত করে তেমনি সাহায্য সহযোগিতার জন্যও হাত পাতে ভিখারিরা। এসব ঝুট ঝামেলায় পরিবারের সদস্য নিয়ে নিরিবিলি একান্ত সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়া অনেক সময় দুরূহ হয়ে পড়ে।

পাঁচ লাখ মানুষের দেশ সার্কভুক্ত মালদ্বীপ পর্যটনবান্ধব হিসেবে গড়ে উঠেছে। ২০২০ সালে দেশটিকে ‘ওয়ার্ল্ড বেস্ট টুরিস্ট ডেসটিনেশন’ হিসেবে ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড টুরিজম অরগানাইজেশন। সে হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক পেছনে। পর্যটন শিল্পের জিডিপিতে প্রত্যক্ষ অবদানের ভিত্তিতে ১৭৬টি দেশের মধ্যে আমাদের পর্যটন শিল্পের অবস্থান ১৪২তম। পর্যটনবান্ধব পরিবেশের জন্য বেশকিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে সংসদীয় কমিটিকে। এর মধ্যে রয়েছে- শুধু পর্যটন বিষয়ক একটি পৃথক সংসদীয় কমিটি বা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অধীন একটি পৃথক সাব কমিটি গঠন করা যায়। যে কমিটি শুধুমাত্র দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এ ছাড়া পর্যটন শিল্প খাতটি একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় খাত বিবেচনায় শুধুমাত্র পর্যটন বিষয়ক পৃথক একটি মন্ত্রণালয় গঠনের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত-মনোযোগী-উদ্দীপ্তকরণে ট্যুরিজম শিল্পে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ বা ‘একুশে পদক’প্রদানে বর্তমান নির্বাচিত বিষয়গুলোর সঙ্গে পর্যটন খাতকে যোগ করে জাতীয় সম্মাননা বা পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে।

এছাড়া পর্যটন বিকাশ সংশ্লিষ্ট একটি সংক্ষিপ্ত ও উপযুক্ত উক্তি/স্লোগান নির্বাচন করা যায়, যে উক্তি/স্লোগানটি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী (সকল পর্যায়), সংসদ সদস্যারা তাদের দাপ্তরিক ও রাজনৈতিক বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে উপস্থাপন করবেন। অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তব্যে উক্তি/স্লোগানটি যোগ করবেন। সে সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা থেকে অন্যান্য পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের নিয়মিত দাপ্তরিক সভায় উক্তি/স্লোগানটি উপস্থাপন করবেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ডে পর্যটন খাত থেকে আয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে বিদেশি পর্যটক। এই অঞ্চলে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার পর্যটন আয় বেশি, কারণ তাদের পরিকল্পিত চিন্তাভাবনা। ছোট রাষ্ট্র যেমন- হংকং, সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, মালদ্বীপ, ফিজি পর্যটন খাত থেকে প্রচুর আয় করে শুধু বিদেশিদের আনাগোনার জন্য।

পর্যটন আয়ে আমাদের দেশ বেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশ বর্তমানে পর্যটনখাত থেকে বছরে আয় করে প্রায় ৭৬ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার। অথচ সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, ভারতে পর্যটন খাত থেকে আয়ের পরিমাণ ১০ হাজার ৭২৯ মিলিয়ন ডলার, মালদ্বীপে ৬০২ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানে ২৭৬ মিলিয়ন ডলার এবং নেপালে ১৯৮ মিলিয়ন ডলার। সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় আয়ের ৭৫ শতাংশ, তাইওয়ানের ৬৫ শতাংশ, হংকং এর ৫৫ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৫০ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩০ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। মালদ্বীপের অর্থনীতির বেশির ভাগই আসে পর্যটন খাত থেকে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ৭ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে কক্সবাজারকে নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সাবরাং এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন, মোটেল উপলকে পাঁচতারকা মান দেয়া, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ, সরকারের বিভিন্ন খাসজমি পর্যটন খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করা এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করার কাজ ইতোমধ্যে সরকার হাতে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে পর্যটন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন দর্শনার্থীরা। তাই টুরিস্ট পুলিশে যথাযথ লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মনিটরিং এখন সময়ের দাবি।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ