আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

মানব উন্নয়ন সূচকে তিন ধাপ অগ্রগতি!

চিররঞ্জন সরকার  

একটি পুরানো কৌতুক দিয়ে শুরু করা যাক।
বাবা তার ছোট ছেলেকে বলছে, অঙ্কে কত পেয়েছিস?
-ভাইয়ার চেয়ে মাত্র দুই নম্বর কম।
-ভাইয়া কত পেয়েছে?
-দুই!

জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের হেরফেরটাও অনেকটা সেই কৌতুকের মত! ২০১৬ সালে জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) তিন ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের! ২০১৫ সালের সূচকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৩৯। এর আগে ২০১৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২। তবে আশার কথা-বাংলাদেশ এগোচ্ছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে এই চিত্র লক্ষ করা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী মানব উন্নয়ন সূচকের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এরপর রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় ভারত রয়েছে ১১৩তম, পাকিস্তান ১৪৭তম, নেপাল ১৪৪তম, ভুটান ১৩২তম, শ্রীলংকা ৭৩তম অবস্থানে।

মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার মত উপকরণ নেই। তবে এটাও ঠিক যে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন ইতিবাচক। দুই হাজার ডলারের কম মাথাপিছু আয় করেও প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে আমাদের অর্জন অনেক ভালো। আমাদের গড় আয়ু ৭২ বছর ছাড়িয়েছে। যা ভারত ও পাকিস্তানে ৬৬ বছর। ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার বাংলাদেশে হাজারে ৩৮ এ নেমে এসেছে যা ভারতে ৪৫ এবং পাকিস্তানে ৮১। লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। এর থেকে মূল বার্তা হলো যে, তুলনামূলক মাথাপিছু কম আয় করেও বাংলাদেশ মানব উন্নয়নে এগিয়ে গেছে।

তবে এবারের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে একটি বিশেষ দিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উঠে এসেছে। আমাদের দেশে যতটুকু যা উন্নয়ন হয়েছে বা হচ্ছে, তা সুষম নয়। সমাজে যারা ‘প্রিভিলেজড’ হিসেবে চিহ্নিত তারাই ফুলে-ফেঁপে উঠছে। পক্ষান্তরে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উন্নয়নের মূল স্রোতে শামিল হতে পারছে না। আমাদের দেশের অধিকার আন্দোলন কর্মী, রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিরাও এসব `পিছিয়ে পড়া’দের নিয়ে তেমন সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন না। এখানেই আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।

আমাদের দেশে যারা সুবিধাভোগী তারা সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি উদাসীন। সাঁওতাল ছেলেটার জন্য চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতে নামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া যুবক কখনও মিছিলে হাঁটে না। সরকার কেন সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করে না- এ প্রশ্ন করে না কোনো কর্পোরেটের সিনিয়র ম্যানেজার।যার সন্তান শহরের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ছে, তিনি সরব হন না গ্রামের জরাজীর্ণ স্কুলের লেখাপড়ার মান নিয়ে। যাঁরা প্রশ্ন করতে পারেন, অধিকার আদায় করে নেওয়ার মতো সামাজিক জোর যাদের আছে, তারা ভাবেন শুধু নিজের জন্য। পিছিয়ে পড়াদের জন্য তাদের কোনো মাথাব্যথা লক্ষ করা যায় না! আর তাই উন্নয়নের সুফলও সবাই পায় না।

এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে প্রায় বৈপ্লবিক এই উক্তিটি রয়েছে এ বছরের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে (হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট)। এ বছরের প্রতিবেদনের নাম ‘ডেভেলপমেন্ট ফর এভরিওয়ান’। সবার জন্য উন্নয়ন। প্রতিবেদন বলছে, গত পঁচিশ বছরে গোটা দুনিয়ার সমৃদ্ধি বেড়েছে যে ভাবে, সব মানুষের কাছে তার সুফল সমানভাবে পৌঁছোয়নি। কথাটা পরিচিত। এটাও জানা যে ফারাক শুধু এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের উন্নয়নের মাত্রায় নয়, ব্যবধান রয়েছে একই দেশের মধ্যে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যেও। এ বারের প্রতিবেদন বলছে, গোটা পৃথিবীতেই পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর চেহারায় মিল রয়েছে। উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে রয়েছেন সংখ্যালঘুরা, নারীরা, ঐতিহাসিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষরা, উদ্বাস্তুরা, দুর্গম অঞ্চলে থাকা মানুষরা। গোটা দুনিয়া জুড়েই রাষ্ট্রের কাছে তারা উন্নয়নের সমান অধিকার পাননি।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান যে আসলে তিনটে আলাদা ঘেরাটোপে থাকা জিনিস নয়, একটার সঙ্গে অন্যগুলোর যোগ অবিচ্ছেদ্য এবং অনস্বীকার্য, একটার অধিকার কেড়ে নিলে যে অন্য অধিকারগুলোও ব্যাহত হয়, প্রতিবেদন খুব জোরের সঙ্গে সে কথা বলেছে। জানিয়েছে, দুনিয়ার সর্বত্র কিছু মানুষ এই অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকেছেন।

কী ভাবে সবার জন্য উন্নয়নের অধিকার আদায় করা যায়, এ বারের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন তা নিয়েই। ঘুরেফিরেই এসেছে ‘এজেন্সি’-র প্রসঙ্গ। কিছু করতে পারার ক্ষমতারই নাম এজেন্সি। সেই ক্ষমতা সবার সমান নয়। উন্নয়নের সিঁড়িতে যারা ওপরের ধাপে দাঁড়িয়ে আছেন, এজেন্সিও স্বভাবতই তাদের বেশি। সেই ক্ষমতা কি পিছিয়ে পড়াদের উন্নয়নের অধিকার আদায়ের কাজে ব্যবহার করা যায়? রিপোর্ট জানিয়েছে, যায়। দাবি আদায়ের ক্ষমতা যাদের আছে, তারা যদি শুধু নিজেরটুকু না ভেবে প্রান্তিক মানুষদের উন্নয়নের দাবি করেন, পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার আদায় করতে চান, তা হলে রাষ্ট্রের ওপর অনেক বেশি চাপ তৈরি করা যায়। অনেক সহজ হয় যুদ্ধজয়।

প্রতিবেদনের পাতায় এই কথাগুলো কেমন অলীক ঠেকে। শুধু বাংলাদেশ বলেই নয়, গোটা দুনিয়াতেই। যারা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেন, অথবা যারা হোয়াইট হাউসে অধিষ্ঠিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, যারা কোটি কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে সমাজে দাপট দেখিয়ে চলে, এই দুনিয়া তো তাদেরই। এই দুনিয়া আপাতত এই বিরাজনীতির শিকার। তারা দাবি করবেন পিছিয়ে থাকা মানুষের উন্নয়ন? নিজের বাইরে, অথবা নিজের সংকীর্ণ শ্রেণিস্বার্থের বাইরে ভাবতে না পারা, ভাবতে না চাওয়াই এখন দুনিয়ার রীতি। বাংলাদেশে অনেকেই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলেন। ‘সাম্য’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। কয়েক হাজার বছরের অসাম্য দূর করার জন্য যে সংরক্ষণ নীতি তৈরি হয়েছিল—মাত্র সাড়ে তিন দশকেই সেই নীতিকে দূর করে ‘সাম্য’ প্রতিষ্ঠার কথা বলাটাই হচ্ছে-বিরাজনীতি। যারা পিছিয়ে আছেন, তাদের লড়াইয়ে নিজেকে শামিল করতে হলে বৃহত্তর ন্যায়ের কথা ভাবতে পারতে হয়। বিরাজনীতি বা রাজনীতি বিমুখতা আসলে তারই অক্ষমতা।

মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনের আশাবাদটাকে সত্যি করে তুলতে হলে—এগিয়ে থাকা মানুষের মুখে পিছিয়ে থাকা মানুষের দাবিকে নিয়ে আসতে হলে—গোড়ায় এই বিরাজনীতিকে হঠাতে হবে। সেই কাজটা পারে রাজনীতিই— যা নিজের ছোট গণ্ডির বাইরে থাকা অন্যদের প্রতি সহমর্মী হতে শেখায়। আমাদের রাজনীতির ‘রেটোরিক’-এ বহু দিন থেকে এটা দেখার কথা ছিল। তার পর খরস্রোতা উন্নয়ন এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সেই কথাগুলোকে। পড়ে থেকেছে ‘আম জনতার স্বার্থ’, ‘সবার জন্য উন্নয়ন’, কিন্তু আক্ষরিক ভাবেই অর্থহীন সেই পড়ে থাকা। এই শূন্যতাতেই বিরাজনীতির জন্ম। তার সঙ্গে লড়তে হলে, অতএব, ফাঁক ভরাট করতে হবে অধিকারের রাজনীতি দিয়ে। উন্নয়নের অধিকার।

মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে যাদের পিছিয়ে পড়ার কথা রয়েছে, সেই জনগোষ্ঠীগুলোর কাছে সমান উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রথম কাজ— তাদের রাজনীতির মূলস্রোতে নিয়ে আসা। আমাদের দেশে আইডেন্টিটি পলিটিক্সের বহু সুফল ফলেছে, কিন্তু একটা মস্ত ক্ষতিও হয়েছে— বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পরিচিতির রাজনীতি থেকে যে দাবিগুলো উঠেছে, তা থেকে গিয়েছে সেই জনগোষ্ঠীর নিজস্ব দাবি হিসেবেই। সেই দাবিগুলো যে সর্বজনীন উন্নয়নেরই দাবি, এই কথাটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তার থেকেই তৈরি হয়েছে স্বার্থের সংঘাত। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণের দাবিতে সংখ্যাগুরুর চাকরির সুযোগ খানিক কমলেও সেই দাবি যে আসলে প্রকৃত উন্নয়নেরই দাবি, পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির নয়, এই কথাটা বলা হয়ে ওঠেনি। এই ফাঁক গলেই বিরাজনীতি ক্রমে বৈধতা পেয়েছে। কাজেই, তার সঙ্গে লড়তে হলে বলতে হবে, হাওর, চর, নদী-ভাঙ্গা ভাগ্যহত মানুষের, বস্তিবাসীর, দলিতদের, আদিবাসীদের বা মেয়েদের দাবি শুধু তাদেরই নয়, সেই দাবি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত প্রতিটি মানুষের। এই কথাটা ক্লান্তিহীন ভাবে বলে চললে রাজনীতির মূল মঞ্চ কথাটাকে স্বীকার করতে বাধ্য। বিরাজনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের সেটা প্রথম ধাপ।

তার জন্য নিজের নিজের খোপের বাইরে এসে ভাবতে হবে। সংখ্যালঘু, দলিত বা পিছিয়ে পড়া মানুষের রাজনীতি যে আসলে উন্নয়নের দাবিতে রাজনীতি, এই কথাটা মূলধারার রাজনীতিকে স্বীকার করতে হবে। তাদের প্রত্যেকের আসল সমস্যা যে উন্নয়নের অভাব, এই কথাটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। তাদের লড়াইগুলো আসলে আলাদা নয়, পরস্পরের বিরোধীও নয়। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রাখার বিরুদ্ধে লড়াই কখনও স্বতন্ত্র হয় না। রাজনীতির মূলস্রোতে উন্নয়নের এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে পারাই এখন কাজ।

রাজনৈতিক দলগুলোকে এই রাজনীতির স্রোতে শামিল হতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের দোহাই দিয়ে শুধু শতকরা ৯০ ভাগের জন্য নয়, বাকি দশ ভাগের জন্য, পিছিয়ে পড়াদের জন্য, ‘সবার জন্য’ রাজনীতিই তো আসল রাজনীতি। এই রাজনীতি ছাড়া কি উন্নয়ন হয়?

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ