আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

বনভূমির নিরাপত্তা এবং সুস্থ জাতিসত্তা

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

পৃথিবীর সুস্থ আবহাওয়া, পরিবেশ সুরক্ষা, উদ্ভিদ ও প্রাণির বৈচিত্র্য সংরক্ষণ অর্থাৎ একটি বাসযোগ্য ভূখণ্ড নিশ্চিত করার জন্য স্থলভাগের শতকরা চার ভাগের এক ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো একটি ভূখণ্ডে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন ২৫ শতাংশ বনভূমির। মানুষ খাদ্য ও জ্বালানি সংগ্রহ, ঘরবাড়ি নির্মাণ, আসবাব তৈরি সব কিছুর জন্যই বনের ওপর নির্ভরশীল। তাই পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ছাড়াও যেকোনো দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বনাঞ্চলের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর অল্প কয়েকটি দেশ ছাড়া অন্য সব দেশে বনভূমির সংকোচন ঘটে চলেছে। পৃথিবীব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মানুষের অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকটাই দায়ী।

দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মানুষের চাহিদা। বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গিয়ে অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের পাশাপাশি বনভূমির ওপরও চাপ বাড়ছে। মানুষের আবাসস্থল তৈরি করতে, কৃষিজমির পরিমাণ বাড়াতে, ইমারত নির্মাণের রসদ জোগাতে গিয়ে কমে যাচ্ছে বনভূমি নামের সবুজ-শ্যামল অংশ। শিল্পায়ন এবং নগরায়ণ বৃদ্ধিও অবধারিতভাবেই বনাঞ্চলের ওপর আঘাত হানে। বাংলাদেশের আয়তন এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার এবং বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২২.৩৭ ভাগ। ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর তারতম্যের কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বনাঞ্চল রয়েছে। পাহাড়ি বন, প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন, সৃজিত উপকূলীয় বন, শালবন এবং জলাভূমির বন রয়েছে। বনভূমি ছাড়াও দেশের গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর গাছপালা রয়েছে, যা গ্রামীণ বন নামে পরিচিত।

বাংলাদেশের বুকে সৌন্দর্যের তিলক হয়ে আছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। দেশের মোট ছয় লাখ ১০ হাজার হেক্টর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন আমাদের মোট বনভূমির শতকরা ২০ ভাগ। বাংলাদেশের বনাঞ্চলের শতকরা ৪৪ ভাগ হলো পাহাড়ি বন। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলায় পাহাড়ি বনের অবস্থান। এ বনে রয়েছে গর্জন, চাপালিশ, সেগুন, গামার, ঢাকিজাম, জারুল প্রভৃতি গাছ। একসময় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় পুরোটাই ছিল বনভূমি। জনসংখ্যা ছিল বেশ কম। কিন্তু মানুষ বাড়ল। একসময় মানুষের নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংসের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল তার অরণ্য ঐতিহ্যের কিছুটা হারাল।

বন বিভাগের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। লক্ষ্য করবার মতো তথ্য হলো মোট বেদখল জমির প্রায় ৫৪ শতাংশই সংরক্ষিত বনের, যার পরিমাণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত বন বিভাগের প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৬ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এসব বনভূমি জবরদখল করে রেখেছেন। জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ, কৃষিকাজ থেকে শুরু করে তৈরি করা হয়েছে শিল্পকারখানা। খেয়াল করা দরকার মোট বেদখল হওয়া বনভূমির অর্ধেকেরও বেশি সংরক্ষিত বনাঞ্চল!

এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ১৭৭৬ সালে বাংলাদেশ অংশের পুরো সুন্দরবনের বিস্তার ছিল ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। ২০১৬ সালের হিসাবে সেটা ৬ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসেছে। প্রশ্ন উঠতে পারে যে, বন ও সংরক্ষিত বনের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে সরকার কী করছে? এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, সরকার উল্টো বনভূমি সংক্রান্ত অনেক মামলাতেই হেরে যাচ্ছে। বন বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী বনের জমি নিয়ে এখন দেশে ২ হাজার ৯৪৭টি মামলা চলমান রয়েছে। গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রায় হয়েছে মোট ২ হাজার ৩৩৬টিতে। এর মধ্যে বন বিভাগ হেরেছে ৫৫৭টি মামলায়। আর জয়ী হয়েছে ১ হাজার ৭৭৯টিতে। ২৪ শতাংশ মামলায় হেরেছে বন বিভাগ। এর মানে হলো, প্রতি চারটি মামলার একটিতে হারতে হয়েছে বন বিভাগকে। পরিবেশ আন্দোলনকর্মী ও আইনজীবীরা এই পরিস্থিতির সমালোচনায় অভিযোগ করে বলছেন অনেক ক্ষেত্রেই বনভূমি দখল করা কিংবা ইতোমধ্যে দখল করা বনভূমিতে মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য এসব মামলা সাজানো হয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একশ্রেণির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব মামলায় হারে বন বিভাগ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, ‘রক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১৭’ প্রণয়নসহ বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করলেও বন ও বনভূমি সুরক্ষায় বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর অদক্ষ এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। টিআইবি বলছে, বনের মধ্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা, বনের জমিতে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ, অনুমতিবিহীন বৃক্ষ কর্তন, সংরক্ষিত বনভূমি কৃষিজমিতে রূপান্তর, বনের জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ, দখল ও এক্ষেত্রে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের একাংশের মাধ্যমে যোগসাজশের দুর্নীতির ফলে বনভূমি ও বনজ সম্পদ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে, সম্প্রতি ‘বন আইন-২০১৯’-এর খসড়া প্রণয়ন করা হলেও বন বিশেষজ্ঞরা এটিকে ১৯২৭ সালের বন আইনের পুনর্মুদ্রণের নামান্তর বলে অভিহিত করেছেন। এ আইনের প্রস্তাবিত ২৮ নম্বর ধারায় যথেচ্ছভাবে সংরক্ষিত বনের জমি সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কাজের ব্যবহারের সুযোগ এবং ২৯ নম্বর ধারায় সংরক্ষিত বন তার অংশবিশেষের ওপর রাষ্ট্রের-সরকারের অধিকার গ্রামীণ সম্প্রদায়-সাধারণ জনগণ-কোম্পানির ওপর অর্পণ করার ফলে সংকটাপন্ন বনাঞ্চল আরও উজাড় হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে ২৬, ৭৩ ও ৮০ ধারায় বন কর্মকর্তাদের জন্য দায়মুক্তির বিধান রাখা এবং অবৈধ দখলদারত্ব ও স্থাপনা উচ্ছেদে বন অধিদপ্তরকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা না দেওয়ায় আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় আগামীর বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জলবায়ু পরিববর্তন মোকাবিলার স্বার্থে দেশের বন ও বন্যপ্রাণি রক্ষায় প্রস্তাবিত বন আইনের সংস্কার এবং বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ নিয়ে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রমাণ রাখা প্রয়োজন।

দেশে বনভূমি কমে যাওয়ার তথ্য ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রকাশ করে বন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর। এর মধ্যে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর বনভূমি বেদখল হয়ে আছে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে। সবচেয়ে বেশি বনভূমি বেদখল হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। জেলাটিতে ৫৯ হাজার ৪৭১ একর বনভূমি বেহাত হয়েছে। বেদখল হওয়া বনভূমির তথ্য জানালেও কারা এসব জমি দখলে রেখেছেন- তা জানায়নি বন অধিদপ্তর। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অধিদপ্তর কর্তৃক সর্বশেষ পাঁচ বছরে মাত্র আট হাজার ৭৯২ একর (৩%) উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে উন্নয়নকাজের নামে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বনভূমি বরাদ্দ দিয়েছে বন মন্ত্রণালয়। বড় বরাদ্দ নিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি), গ্যাসক্ষেত্র ও সড়ক কর্তৃপক্ষ। রোহিঙ্গাদের বসতির কারণে ধ্বংস হওয়া বনভূমি এ হিসাবের বাইরে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। কিন্তু প্রতিবছর যে হারে বনভূমি কমে যাচ্ছে, তাতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা। বাংলাদেশের বন বিভাগের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী যা ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। এই হিসাবে বনের বাইরের গাছ আমলে নেওয়া হয়নি। কিন্তু বন বিভাগের নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বনের বাইরে গাছের পরিমাণ মোট ভূমির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এসব গাছের বেশিরভাগই বেড়ে উঠেছে মূলত সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে। সেই হিসাবে বনের ভেতর ও বাইরে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির সাড়ে ২২ শতাংশ।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও ২০২০ সালে ৫৩ হাজার একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে প্রায় চার লাখ ৯৪ হাজার ২১১ একর। এই বিশাল এলাকার গাছগাছালি ধ্বংস না হলে ৭৩ দশমিক ৪ মেগাটন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ ঠেকানো যেত।

৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে টিকে আছে মাত্র ২৩ লাখ হেক্টর, যা মোট ভূখণ্ডের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অথচ একটি দেশের সুস্থ, সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের জন্য ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। সংশ্লিষ্টরা বলেন, যে হারে বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী এক দশকে দেশের বনভূমির হার নেমে আসবে মাত্র ৫ শতাংশে। বন রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চরম দুর্নীতি, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা আর ক্ষমতাধর একশ্রেণির লোভী মানুষের কারণে উজাড় হচ্ছে বন। বৃক্ষনিধনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরিবেশের জন্য কী পরিমাণ হুমকি সৃষ্টি করছি, তা আজ অনেকেই ভাবছেন না।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং আজ বিশ্বব্যাপী অলোচিত বিষয় এবং জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম দিকে। পৃথিবীব্যাপী শিল্পের প্রসারের ফলে অতিমাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। বৃক্ষরাজি অর্থাৎ উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরির জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। অর্থাৎ যত বেশি গাছপালা থাকবে, কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ততটা কমবে। কিন্তু যখন গাছপালা ধ্বংস হচ্ছে তখন এর উল্টোটাই ঘটছে। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন সুস্থ জাতিসত্তার নিমিত্তে বনভূমির নিরাপত্তা অপরিহার্য। আর সেজন্য বনভূমি রক্ষায় সর্বস্তরের মানুষের সর্বাত্মক সর্তকর্তা অবলম্বন জরুরি।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ