আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

সুন্দরবন দর্শন: পশ্চিম ঢাংমারী গ্রাম পর্ব

জাকিয়া সুলতানা মুক্তা  

ভ্রমণপিপাসু হিসেবে সুন্দরবন ভ্রমণ এবারই আমার প্রথম নয়। তবে এবার একটু বিশেষ ব্যাপার ছিলো। কারণ এবার সুন্দরবন লাগোয়া একটি নির্মাণাধীন ইকো রিসোর্ট ‘ইরাবতী ইকো রিসোর্ট ও রিসার্চ সেন্টার’-এর অন্যতম উদ্যোক্তা আমার কাছের বন্ধু আব্দুল্লাহ যুবাইর হীরার আহ্বানে সুন্দরবন-ঘেঁষা খুলনা জেলার দাকোপ থানার বানিয়াশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ঢাংমারী গ্রামে গিয়েছিলাম। তাই এবারের ভ্রমণটা ঠিক আর দশটা ‘ভ্রমণস্থান টুকে টুকে ভ্রমণ’ করার মতন ছিলো না। এটি একেবারেই সুন্দরবনের মাটি, মানুষ, প্রাণ, সংস্কৃতি-ছোঁয়া প্রকৃতিস্পর্শ ভ্রমণ ছিলো। অভিজ্ঞতাটিও তাই অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক ভিন্ন ছিলো। উল্লেখ্য, যেখানে গিয়েছিলাম সেটা এখনও যথেষ্ট জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান নয়। খুবই প্রত্যন্ত একটি এলাকা। তবে সাধারণ জনসাধারণের ব্যবহার ভীষণ আন্তরিক ও তারা এক কথায় অমায়িক প্রকৃতির। ভীষণ সংস্কৃতিমনস্ক, বিশেষ করে অবাক হতে হয় তাদের ঘরে ঘরে একেকজনের নাম রাখার প্রবণতার দিকে খেয়াল করলে।  দারুণ দারুণ সব বাংলা শব্দে নিজ নিজ পরিবারের নতুন অতিথিদের নামকরণ করেন তারা। যেমন দীক্ষা, তমালিকা, সুজাতা, তিয়াসা ইত্যাদি।

তবে জীবন এখানে কঠিন। এই অঞ্চলের মানুষের প্রত্যহ জীবন চলে জোয়ার-ভাটার সময় ধরে। গ্রীষ্ম-বর্ষার এই ষড়ঋতুর বাংলাদেশে তাদের জীবনটা একান্তভাবেই প্রকৃতির সাথে জড়াজড়ি করে বইছে। আম-জাম-লিচু-কাঁঠালের সাথে সাথে তাইতো গোলফলও তাদের বাড়ির বাচ্চাদের কাছে প্রিয় ফল। জীবন-সংগ্রামের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি পড়ে, আজকাল এখানকার কৃষকেরা ক্ষেতের পর ক্ষেত বিভিন্ন ফলফলাদি, শস্য ফলাতে বিষাক্ত সার ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের মাঝে অনুতপ্ত বোধটিও চোখে পড়ার মতন। কিন্তু পুঁজির বাজারে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে কৃষকের পুঁজি তো যথাযথভাবে ফলন দেয় না, তারা শস্যের ন্যায্য মূল্য পায় না। এর কারণে বাধ্য হয়ে এ পথে তাদের হাঁটতে হয়। বিষয়টি পরিষ্কার হয় যখন কোনো গৃহস্থ বাড়িতে আসা অতিথিদের তারা নিজেদের ক্ষেতখামার দেখাতে নিয়ে গেলেও, ক্ষেত থেকে কোনো শস্য/ফলফলাদি (যেমন তরমুজ) তুলতে গেলে তারা দেয় না। কারণ ওটাতে বিষাক্ত সার দেওয়া, ওই বিষ তারা অতিথিকে খাওয়াবে না। নিজেদের জন্য তুলে রাখা ফল থেকে আন্তরিকভাবে খেতে দিতে দেখলাম প্রায় বাড়ির মাসী-বৌদিদের। পুরো বিষয়টিতে তাদের আন্তরিকতা ও অসহায়ত্বটি সুস্পষ্ট।

উৎসুক মন এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চার খোঁজ নিতে গেলে, জানলাম এই এলাকায় প্রতি ঘর সনাতন ধর্মের বাচ্চারাই স্কুলগামী। তবে মুসলিম মেয়েদের পড়াশোনার বেলায় এখানে বেশ রক্ষণশীলতা রয়েছে। এখানে মিশনারি স্কুলও রয়েছে, আবার অপ্রতুল স্কুল-কলেজের পাশাপাশি অনেক মসজিদ-মাদ্রাসাও রয়েছে। সনাতন বিশ্বাসের মধ্যে এলাকার হিন্দু-মুসলিমসহ আপামর জনসাধারণের মাঝে, বিশেষত যারা বনে জীবিকার উদ্দেশ্যে যায় যেমন মৌয়ালদের (মধুশিকারি) কাছে বনবিবি’র বিশ্বাস ও তার পূজা-অর্চনার বিষয়টি ঐতিহ্যবাহী এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই বিশ্বাস এমনকি সনাতন বিশ্বাসীদের বাইরেও বেশ জনপ্রিয়। কথিত আছে অসনাতন অনেক ব্যক্তিও লালপেড়ে হলুদ শাড়ির খোলা চুলে বনবিবিকে বনের মাঝ দিয়ে হেঁটে যেতে অনেকবারই দেখেছেন। ফলে উক্ত বনবিবির পূজা এখানকার সাংস্কৃতিক চর্চার একটি অন্যতম বাহন।

জীবনবাস্তবতার প্রসঙ্গে বনের প্রভাব যেনো ঘোরতর এক নিয়তি। এইতো ক'বছর আগেও বাঘের আক্রমণ এখানকার নিত্যকার ব্যাপার ছিলো। মানুষের মুখে মুখে জানা যায় মায়ের কোলে থাকা শিশু সন্তানকে, ঘরের ভেতরে এসে মামা’র (বাঘের প্রচলিত নাম) টেনে নিয়ে যাওয়ার লোমহর্ষক কাহিনী। আর বনের মাঝে গিয়ে বাঘ আর সাপের কামড়ে মারা যাওয়ার বা হারিয়ে যাওয়ার মতন গল্পের তো শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই। এমন ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করতে হয় বলেই, তারা ক্ষুধার তাড়নায় অনেকেই ডাকাতির মতন আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়াতো। এটিও খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় ও একজন স্বনামধন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহসীন-উল হাকিমের মধ্যস্থতায় সুন্দরবন এলাকার ডাকাত দলের সবাইই এখন পুনর্বাসিত হয়েছে এবং ডাকাতি পেশা ছেড়ে দিয়ে নতুন জীবনে থিতু হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, পুনর্বাসিত হয়ে পূর্বের পেশা ছেড়ে বর্তমানে তারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবন কাটাচ্ছে। একেকজনকে জমিসহ বাড়ি ও জীবিকার জন্য নগদ অর্থ-গবাদি পশু দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি ও চিংড়ির ঘের করার প্রচলনটাই বেশি হলেও, এই প্রত্যন্ত গ্রামের অধিবাসীদের মাঝে ঘর-গৃহস্থালির পাশাপাশি অনেকেরই পেশা বনে মধু শিকার করা। এই মৌয়ালদের কাছে পুরো বন যেন তাদের হাতের মুঠোর মতন চেনা। কোন গাছের ডালে মৌমাছি চাক বানাতে পারে এরকম একটি পূর্ব ধারণা তাদের থাকে, কারণ বনে বনে হেঁটে তারা নিত্যই তা খুঁজে বেড়ায়। আবার একটা চাক ভাঙার পর সেই অংশ থেকে আবার চাক তৈরি করে মৌমাছিরা, এজন্য তারা বারবার ফিরে ফিরে যায় বনের মাঝে। কিন্তু ঘন সুন্দরবনে চলাফেরা খুব কঠিন। পায়ের পাতা মেলে ওখানে হাঁটা সম্ভব নয় একেবারেই, হাঁটতে হয় বনে চলার বিশেষ শৈলী মেনে। তবে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না সাপের কামড় আর বাঘের শিকার হওয়ার ভয় নিয়েও তারা মধুশিকারে যায়, শুধুই জীবিকার প্রয়োজনে। অথচ আমরা সভ্য সমাজের মধুগ্রহীতারা জানিও না, যে মধু আমরা খাই তার পেছনে কত শত কান্নাজল, শরীরের ঘাম-রক্ত মেশানো রয়েছে। ঠিক যেমন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নির্মিত বানিয়াশান্তার বিখ্যাত পতিতাপল্লির হতভাগ্য পতিতাদের জীবন! ধারণা করা হয় উত্তাল পশুর নদীতে নোঙর করা বিশাল বিশাল জাহাজে করে কাজে আসা বড় একটি কর্মজীবী অংশের মধ্য থেকে এ পল্লির গ্রাহকসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রাহকদের জৈবিক চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যেই নির্মিত বানিয়াশান্তার পতিতাপল্লি। নারীর জীবনের এই একান্ত দুর্বিষহ পরিণতি যে নৈশব্দের করুণ বিলাপ সৃষ্টি করে, তা কোনো না কোনোভাবে এ অঞ্চলের হতভাগ্য জনগোষ্ঠীর প্রাত্যহিক জীবনের দুঃখকষ্টের সাথে খুব করে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এ দু’য়ের মাঝে এক অদ্ভুত মিল বিদ্যমান। প্রকৃতির কোল ঘেঁষা এই গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় তো আছেই, বড় বড় সব সাইক্লোন-ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস, এর পতিত মানুষদের জীবনকে সময়ে সময়ে আরও অনেক বেশি পতিত করে তোলে। উল্লেখ্য সিডর, আইলা, আমপানের মতন বিধ্বংসী ঝড়-জলোচ্ছ্বাসগুলোর আঘাত এখনও যেনো দগদগে ঘা’য়ের মতন স্পষ্ট। এসবের মাঝে দু’দিনের মধুগ্রহীতাদের মতন কখনো কখনো লোভী মানুষদের কবলে পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে, তাদের অনেককে অনেকসময়ে ঠকতেও হয়। অথচ বারবার ঠকেও তাদের নিজেদের মধ্যকার উন্মুক্ত সম্প্রীতির চর্চা ব্যাহত হয়নি এতটুকুও।

এমনও হয়েছে স্কুলের সনাতন ধর্মের শিক্ষক দিনের পর দিন ক্লাস নিয়েছেন ইসলাম ধর্মের ক্লাস। সেই ক্লাস করে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মুসলিম শিক্ষার্থীরা। ভালো ফলাফলও করেছে অনেকে। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই এখানকার কারোর। এখানকার মাদ্রাসাগুলোতে প্রায়শই ইসলাম ধর্মভিন্ন অন্যান্য বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছেন অমুসলিম অনেক শিক্ষক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের করা নির্যাতন, একটি বড় ক্ষত হিসেবে রয়ে গেছে এখানকার সনাতনসহ সাধারণ অপরাপর জনগোষ্ঠীর স্মৃতিতে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে দাকোপে অবস্থিত বাজুয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিলো। উক্ত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে যুদ্ধসৌধ ‘স্মৃতি অম্লান’। তাইতো জানতে চেয়েছিলাম যুদ্ধের স্মৃতি কীরকম ছিলো তাদের। লোকমুখের গল্প থেকে জানা যায়, যুদ্ধের সময় বহু লোক রাজাকার বাহিনীতে যেমন যোগ দিয়েছিলেন, অনেকেই নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে নানান উপায়ে সাহায্য-সহযোগিতাও করেছেন। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টি এখানে বেশ ভালোভাবেই বজায় রয়েছে।

যুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তী ভাগ্যবিড়ম্বনা তাদের নির্যাতিত করেছে যেমন, স্বাধীন দেশে এখনও তাদের নির্যাতন ভিন্ন উপায়ে বিদ্যমান রয়েছে। এরকমই অভিযোগ শোনা যায় স্থানীয়দের অনেকের জবানি থেকে। অভিযোগ আছে যে আগে ভাগ্যবিড়ম্বিত লোকদের ডাকাতি করা পেশা-নেশা ছিলো, তা বর্তমানে বন্ধ হলেও প্রায়ই কিছু স্বার্থান্বেষী ক্ষমতাবান মানুষ এখন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের পরিচয় ও ক্ষমতা ব্যবহার করে তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এরাই তাদের কাছে বর্তমানে ডাকাত বলে পরিচিত!

এ কথা অনেকেই সমস্বরে জানালেন যে রাজা যায় রাজা আসে কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন আর হয় না, এই পরিস্থিতি একটু হলেও পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু ঘর পোড়া গরু সিঁদুরের মেঘ দেখলেও যেমন ডরায়, তেমনি এখনও বনের পশু ও ডাঙার মানুষরূপী ডাকাতের স্মৃতি এখনও আতঙ্কিত করে এখানকার জনগণকে। তাইতো রাত-বিরেতে কিংবা দিনের আলোতেও একলা পথে তাদের সাথে করে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম নিয়ে পথ চলতে হয়। বিশেষত সুন্দরবনের অলিতে গলিতে আর এর লাগোয়া অঞ্চলসমূহে দা-কুড়োল সাথে রেখে ঘুমাতে যাওয়ার প্রচলন এখনও এই বাস্তবতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করায় ডাঙায় বাঘ আর জলের কুমিরের শত শত কাহিনী। বন্যপ্রাণির প্রজনন সময়ে নদীতে নামে না এ অঞ্চলের মানুষেরা। মুহূর্তেই যে টেনে শত হাত জলের নিচে নিয়ে যাবে কখন কাকে কেউ জানে না। এই ভ্রমণে এমনই সময় ও রাত কাটিয়ে এলাম।

এটি সত্যি যে চারপাশে পাখপাখালির আর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর মাটিতে বিছানো ছোট ছোট গর্তে অবাধ লাল কাঁকড়ার বিচরণের পাশাপাশি মশা-মাছি আর হরেক রকমের পোকামাকড়ের কামড় সহ্য করা সত্যিকারের বন্য জীবনের খানিক স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিলো এবার। হয়েছে প্রতিকূল পরিবেশে প্রতি বেলাতেই খাবারের খোঁজ করে আয়োজন করার ধকল থেকে শুরু করে, প্রকৃতির ডাকে সভ্যতার কৃত্রিমতাবর্জিত প্রাকৃতিক উপায়ে সাড়া দেওয়ার বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতাও।

এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। ঠিক ডিসকভারি চ্যানেলের ‘নেকেড এন্ড এফ্রেইড’ নয়, এ যেন ‘ড্রেসড এন্ড এফ্রেইড’-এর গল্প!

জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ